সকালের দিকে চাদর লাগছে। মাঝে মধ্যে কমিয়ে দিতে হচ্ছে ফ্যানও, অথচ দুপুরে দুরন্ত গরমে কালগাম ছুটছে বঙ্গবাসীর। হেমন্ত কালে শীতের আমেজ এখনও নেই, তবে শীত যে আসছে তার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টি বাদলার সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে কোনও ওয়েদার সিস্টেম সক্রিয়ই নেই। তাই বাংলার আবহাওয়ার বিরাট কোনও বদলের পূর্বাভাস নেই হাওয়া অফিসের তরফে। উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকাতে ঘূর্ণাবর্ত শুক্রবার সন্ধেতেই নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। তবে তা আরও শক্তি বাড়াবে কিনা সেটাই দেখার।
এদিকে এই নিম্নচাপ এবং পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তুরে হাওয়া বাংলার প্রবেশ করতে বাধা পাচ্ছিল। তাই শীত ঢুকতেও খানিক দেরি হবে বলেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তবে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে বাংলার হাওয়া খানিক বদলাবে এমনটাই পূর্বাভাস।
শুক্রবার থেকে বাংলার সব জেলাতেই কমতে শুরু করবে বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। অস্বস্তি কমবে। উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে পারে ১৫ নভেম্বর থেকে। গোটা বাংলার আবহাওয়াই থাকবে মোটের উপরে শুষ্ক। রবিবার জগদ্ধাত্রী পূজার নবমীর দিন হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা উপকূলের তিন জেলাতে। পূর্ব মেদিনীপুর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনা এই তিন জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
গত কয়েকদিন ধরেই বেশ ঝকঝকে আবহাওয়া। তবে সকালের দিকে কোথাও কোথাও ধোঁয়াশা, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমছে। এই সপ্তাহে বিরাট কোনও বদল না হলেও, সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমবে। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।