জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। সোমবার ভোরে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় খুন হন সইফুদ্দিন লস্কর। ঘটনার পর এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু কে ছিলেন সইফুদ্দিন লস্কর? কীভাবে বাড়ল তাঁর প্রতিপত্তি?
আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জয়নগরের মহিষমারিতে জন্ম সইফুদ্দিনের। বারুইপুর আদালতে মুহুরির কাজ করতেন তিনি। তারপর ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হয়। মুহুরির কাজ ছেড়ে ডাকমাস্টারের কাজ নেন। তখন থেকেই শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। ২০১৮ সালে বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি করা হয় তাঁকে। তারপর চলতি বছরেও পঞ্চায়েতের টিকিট পেয়েছিলেন সস্ত্রীক সইফুদ্দিন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের অনেকেই জানিয়েছেন, প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লেনদেন হত তাঁর হাত দিয়েই। যদিও রাজনীতি করা ছাড়া আর কী কী করতেন তিনি কেউ জানে না। টাকার উৎস সম্পর্কেও সবাই অজানা।
প্রথমের দিকে শ্বশুর বাড়িতে থাকলেও এখন নিজের বাড়ি করেছেন সইফুদ্দিন। পুরো এলাকায় সইফুদ্দিনের ব্যাপক প্রভাব ছিল বলে জানিয়েছেন অনেকেই। সোমবার সকালে তাঁকে খুন করার পর ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় CPIM এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে।