সিবিআই (CBI) প্রসঙ্গে আরও আক্রমণাত্মক বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, ‘কার সিবিআই দেখার দরকার নেই, পাবলিকের টাকায় চলছে। আমি বিচার না পেলে বলতে পারব না?’ পর পর তিন দিন। রাজ্যে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সরব দিলীপ ঘোষ। প্রথমদিন রবিবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে। এরপরে সোম ও মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে।
দু'দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অনুষ্ঠানেই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন দিলীপ। বলেন, "আপনারা জানেন, গত কয়েকমাস ধরে এখানে সিবিআই এনকোয়ারি চলছিল। কিন্তু কোনও এফেক্ট হচ্ছিল না। ডকুমেন্টস আসছিল না। ধরা পড়ছিল না। কারণ কী? তার মধ্যে সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। আমিও শুনেছি, খবর আছে। সবার একটা পেট আছে। সবাই বিক্রি হয়। তার দাম থাকে। কেউ লক্ষে, কেউ কোটিতে, কেউ শ’কোটিতে। সেইভাবে বিক্রি হচ্ছিল। সেটা সরকার বুঝতে পেরেছে। আমি যতদূর শুনেছি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসে ইডি এসেছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে।"
আরও পড়ুন- Sukanya Mondal: অনুব্রত-কন্যার নামে আরও জমির খোঁজ, বোলপুর রেজিস্ট্রি অফিসে হানা দিতেই অবাক সিবিআই
বিজেপি যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায়, সেই সময় কেন্দ্রেরই অধীনে থাকা সিবিআই সম্পর্কে দিলীপের এমন বিরূপ মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে গরুপাচার থেকে স্কুল শিক্ষক দুর্নীতির মতো হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তভার যখন এই মুহূর্তে সিবিআই-এরই হাতে। তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলবে আসছে তৃণমূল। এবার সেই সুরে সুর মেলালেন দিলীপ ঘোষও।
তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির সাফাই, ‘‘দল বা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে কিছু বলিনি। আর আমি যেমন দলের কাছে দায়বদ্ধ, তেমন কর্মীদের কাছেও দায়বদ্ধ। সেটা আরও বেশি করে। তৃণমূলের সন্ত্রাসে মৃত কর্মীদের পরিবারের কাছেও আমি দায়বদ্ধ। তাঁদের মনের কথাই আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে। আমি সমালোচনা করেছি স্বজন-হারানো বিজেপি পরিবারের প্রতিনিধি হিসাবে।’’