ফুটবলের বরপুত্র তিনি। লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। তাঁর বাঁ পায়ের জাদু- অবাক করে গোটা বিশ্বকে। প্রতিবার বল গোলে ঢুকলেই লিও দু'হাত উঁচুতে উঠিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে শূন্যে ছুড়ে দেন একরাশ কৃতজ্ঞতা, কার উদ্দেশ্যে? আজ বলা যাক সেই গল্প।
ছোট্ট মেসি, মাত্র তিন বছর বয়স তখন, সকলের সঙ্গে গিয়েছিলেন সমুদ্র সৈকতে। মেসিকে পাহারা দিচ্ছিলেন দিদিমা (Messi's Grand mom) সেলিয়া অলিভেরা। নাতির খেলার জন্য এনেছিলেন একটা বল, সারাটা সময় মেসি ওই নিয়েই থাকল, সমুদ্রের দিকে ফিরেও তাকাল না, বালির ওপর ড্রিবল করে গেল বল নিয়ে। ফুটবল পাগল দিদিমা, সেদিনই ঠিক করে ফেলেছিলেন নাতিকে ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু বাবা-মায়ের মত ছিল না প্রথম দিকে।
রোসারিওর গ্রান্দোলিতে জুনিয়র টিমে একজন খেলোয়াড় কম পড়েছিল, খেলা শুরুই হচ্ছিল না। মেসির তখন ৫। কোচ সালভাদোরকে রাজি করানোই ছিল বেশ সমস্যার, কিন্তু দিদিমা সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন। শুরু হল লিওর সোনালি দৌড়। মেসির হাত ধরেই ৮৬ তে গ্রান্দোলির সাব জুনিয়র দলের হাতে এল ট্রফি।
কোচ সাল্ভাদোরের কথা মতোই মেসিকে ভাল সুযোগ করে দিতে বড় ক্লাবে নিয়ে যাওয়া দিদিমার। তারপর তো একের পর এক ইতিহাস। কিন্তু ছোট্ট লিওর তখন মাত্র ১১, হঠাৎ চলে গেলেন জীবনের প্রিয়তম মানুষটা, দিদিমা সেলিয়া অলিভেরা। কিন্তু যে ডানা তিনি নাতিকে দিয়েছিলেন, তা ততদিনে উড়তে শিখেছে। ১১ বছরের সেই প্রথম ধাক্কা ছোট্ট মেসির। তারপর থেকে জীবনের প্রতিটা ছোট বড় গোলের পর আকাশের দিকে তাকিয়ে দিদিমাকেই স্মরণ করেন লিও, সেই দিদিমা, যার কাছে কৃতজ্ঞ গোটা ফুটবল বিশ্ব।