কী এর অর্থ জানেন ? মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রাইমেট। ২৪ বছর আগে এই নামে মজার এক সিনেমা তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল হলিউড। শিম্পাঞ্জিও আইস হকি খেলতে পারে। ছবিতে তার নাম ছিল জ্যাক। এটাই ছিল সেই ছবির চিত্রনাট্য। রবার্ট ভিন্সের পরিচালনায় এই ছবি সেই সময় ব্যবসা করেছিল ১.২ মিলিয়ন ডলার। তাহলে বোঝা যাচ্ছে সেইসময় কতটা জনপ্রিয় হয়েছিল এই সিনেমা ?
কিন্তু হঠাৎ করে ২৪ বছর MVP প্রসঙ্গ কেন ? তাহলে এই কী এই ছবির সিকুয়াল আসছে হলিউডে ? ঠিক তা নয়। এই সিনেমার প্রসঙ্গ উঠেছে এবার ক্রিকেট মাঠে। কোথায় জানেন ?
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলছে ভারত। পার্থ থেকে গাব্বা ভারতীয় স্পিডস্টার বুমরার আগুনে বোলিংয়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে অজি ব্যাটিং। বুমরার এই পারফরম্যান্সকে ব্যাখা করতে গিয়ে ব্রিটিশ ধারাভাষ্যকার মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রাইমেটের প্রসঙ্গকে টেনে এনেছিলেন।
সোশাল মিডিয়ার যুগে আজ কোনও কিছুই চাপা থাকে না। তাই ইশার এই মন্তব্যও ধামাচাপা পড়েনি। বরং সিরিজের মাঝে তা স্ফুলিঙ্গের আকার নিয়েছে। নেটিজেনদের মতে, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটারের মন্তব্য মনে করিয়ে দিয়েছে ২০০৮ সালের সিডনিতে মাঙ্কিগেটের কথা।
হরভজন সিংয়ের সঙ্গে অ্যান্ড্রু সাইমণ্ডসের সেই বিবাদ গড়িয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত। সাক্ষ্য দিতে হয়েছিল স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকরকে।
ব্রিসবেন ঠিক কী বলেছেন ইশা ?
গাব্বায় তখন আগুন ঝরাচ্ছেন বুমরা। এই ম্যাচেও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বুমরা প্রসঙ্গে ইশার মন্তব্য ছিল, হ্যাঁ বুমরা তো এমভিপি ? তাই না ? মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রাইমেট, যশপ্রীত বুমরা। ব্যাস এতেই শুরু হয় বিতর্ক।
ভুল বুঝতে পেরেছেন ইশা। ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি এমন একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন, যার অনেক রকম অর্থ হয়। সেই ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন। তিনি সবসময় অন্যদের সম্মান করেন। যদি কেউ তাঁর বলা পুরো মন্তব্যটি শোনেন, তা হলে বুঝতে পারবেন তিনি ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের প্রশংসাই করছিলেন। তিনি নিজেও বুমরার ভক্ত। কোনও রকম বৈষম্য তৈরি করতে তিনি চাননি।
ইংরেজ ধারাভাষ্যকার ক্ষমা চাওয়ায় নেট পাড়ায় পরিস্থিতি খানিকটা ঠান্ডা হয়েছে। ইশা ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টও কোনও সরকারি অভিযোগ জানায়নি।