আগামী দু দিনের পূর্বাভাস বলছে, রৌদ-বৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যেই গাব্বায় কামিন্স অ্যান্ড কোম্পানিকে সামলাতে হবে রোহিত শর্মাদের। পারবে কি ভারত ? বেশ কয়েক বছর বিদেশের মাটিতে এই প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু এবার যেন অ্যাডিলেড থেকে সেই প্রশ্ন ফের উঠছে। উঠছে কারণ, ভারতীয় ব্যাটিং সেই পুরনো রোগেই ফের জর্জরিত।
কি সেই রোগ ? অফ স্টাম্পের বাইরে বল নড়লেই শুরু হৃদকম্প। সেখানে রাজাও কাঁপেন, সঙ্গে বাকিরাও। তাহলে কি পার্থের দ্বিতীয় ইনিংস, এই সিরিজে এখনও পর্যন্ত ফ্লুক ছিল। সেই মাঠে যদি ভারত ৪০০ বেশি রান করতে পারে, তাহলে অ্যাডিলেড পরবর্তী সময়ে কি হল ?
গাব্বায় যদি রোদ ওঠে তাহলে কি এই টেস্ট বাঁচাতে পারবে ভারত ? তৃতীয় দিনে শেষ থেকে এই প্রশ্ন শুরু হয়ে গেল। একটা বিষয় স্পষ্ট এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মনে হয় না দু বার ব্যাট করতে নামবে। প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানের পাহাড় তারা ইতিমধ্যেই রোহিত শর্মাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। যা তাড়া করতে নেমে ব্রিসবেনেও বেকায়দায় ভারত। খারাপ আবহাওয়ার জেরে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বন্ধ হয় খেলা। ভারত তখন ৪ উইকেটে ৫১ রান।
এই সিরিজের ফলাফলের উপরেই নাকি সুতোয় ঝুলছে কোচের পদে গৌতম গম্ভীরের ভাগ্য। প্রাক্তনদের তোপ কিন্তু ভারতের ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ারের দিকে। সিরিজের শুরু থেকেই ভারতীয় টপ অর্ডার আউট হয়েছে অফ স্টাম্পের বাইরের বলকে তাড়া করতে গিয়ে।
রোগ যদি এটা হয়, তাহলে ব্যাটিং কোচ হিসাবে অভিষেক নায়ারের প্রেসক্রিপশন কি ? নাকি তিনি সময়ের উপর রোগীর ভাগ্য ছেড়ে দিয়ে বসে আছেন। কেন তিনি যশস্বী, ঋষভ পন্থদের ধৈর্য্য ধরার টোটকা দিচ্ছেন না ?
কেউ জানে না, এই পরিস্থিতি থেকে ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারবে কীনা। তবে, তৃতীয় দিনের গাব্বায় ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ছবি দেখে যা মনে হল, তাতে ব্রিসবেনের আকাশে নয়, দুর্যোগ ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মাথাতেই। চতুর্থ দিনে অধিনায়ক ভরসা, এই গ্যারান্টিও মনে হয় এই অবস্থা থেকে কেউ দিতে পারছেন না।
অতএব, যে ব্রিসবেন থেকে দু বছর আগে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ভারত নিজের কাছে রেখেছিল, সেই ব্রিসবেন থেকেই এবার মনে হচ্ছে ইতিহাসের চাকা ঘোরাতে তৈরি অস্ট্রেলিয়া।