বহু দশকের খরা কাটিয়ে গত শতকের শেষ দশকে এক বাঙালি ক্রিকেট তারকা পেয়েছিল দেশ। ১৯৯৬ সাল। লর্ডসের মাঠে ঝলসে উঠল এক বাঁ-হাতির উইলো। ক্রিকেট সাম্রাজ্যে মহারাজের রাজ্যাভিষেকের সাক্ষী থাকল গোটা দুনিয়া৷ শুরু হল দাদাগিরির। ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) যুগ৷
সে দিনের সেই যুবক এখন বিসিসিআই সভাপতি। এখনও আগের মতো অটুট দাদাগিরি। ৮ জুলাই আধুনিক বাঙালির অন্যতম জনপ্রিয় আইকনের জন্মদিন। ২২ গজের বাইরে যে বড় খেলাটা চলছে, জীবন নামের সেই খেলাতেও দাদা আজ হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেললেন। ৫০ পেরিয়ে ৫১-এ পা সৌরভের।
ভারতীয় ক্রিকেটে বেহালার বাঁ-হাতি অবদান নিয়ে দিস্তে দিস্তে নিউজপ্রিন্ট খরচ হয়েছে। কারও মতে, ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্ক পেরিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে নবজন্ম দিয়েছিলেন সৌরভ। বিদেশের মাঠে জিততে শিখিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়াকে৷ তাঁর হাত ধরেই ক্রিকেটের মহামঞ্চে উত্থান হয়েছিল যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র শেহবাগ, হরভজন সিং,জাহির খানদের৷ কিন্তু বাঙালির কাছে সৌরভ তো কেবল একজন সফল অধিনায়কই নন। বরং এমন এক চরিত্র, যিনি লড়তে শেখান। যিনি ভরসা দেন, জীবনের বাউন্সার সামলেও অনন্ত কামব্যাক সম্ভব।
Rajkumar Rao: ছবির প্রচারে শহরে কলকাতার জামাই রাজকুমার রাও, ভিক্টোরিয়া ঘুরলেন, পোজ দিয়ে ছবিও তুললেন
মহারাজের ম্যাজিকে বাঙালি বোল্ড হতেই ভালোবেসেছে বরাবর।
তাই এক যুগ আগে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট থেকে সরে আসা সৌরভ যখন শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন ভয়ে উদ্বেগে, উৎকণ্ঠায় বিনিদ্র রাত কাটায় দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন। তাঁর রাজনীতিতে আসা নিয়ে জল্পনায় ভ্রু কুঁচকে ওঠে কোটি কোটি বাঙালির। কারণ, এত বড় সর্বজনীন আইকন বাংলা আর দুটো পায়নি। ভাল থাকুন, মহারাজ। জীবনের ময়দানে দাদাগিরি চলতে থাকুক।