ফাইনালে ওঠার লড়াই কঠিন ছিল বাংলার (Bengal)। কিন্তু সেঞ্চুরির পর পাঁচ উইকেট তুলে নেন শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed)। ২৮১ রানে অলআউট হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। ৩৪৯ রানে লিড নেয় রজত পাতিদাররা। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে বাংলা। জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ২৫৪ রান। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক অভিমন্যূ ঈশ্বরণ ও অনুষ্টুপ মজুমদার।
বৃহস্পতিবার পরপর উইকেট তুলে বাংলাকে ম্যাচে ফেরান শাহবাজ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রদীপ্ত প্রামাণিক পান চার উইকেট। বেশ কিছু ক্যাচ মিস করে বাংলার ক্রিকেটাররা। এদিকে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হন ওপেনার অভিষেক রামন। ১৯ রান করে ফেরেন সুদীপ ঘরামি। ৭ রান করে ফেরেন অভিষেক পোড়েল। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানে ফেরেন মনোজও। ম্যাচের পঞ্চম দিনে বাংলার ভরসা অধিনায়ক অভিমন্যূ ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অনুষ্টুপ মজুমদার।
আরও পড়ুন: এবার ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে তথ্যচিত্র ফিফার
রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ পারফর্ম করে বাংলা। এক ইনিংসে ৯টি হাফ সেঞ্চুরি বা তার বেশি রান আসে। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ইতিহাস তৈরি করে বাংলা টিম। কিন্তু সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই সেই ফর্ম উধাও টিম বাংলার। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া প্রত্য়েক ম্যাচের শেষে টিমকে পেপটক দিচ্ছেন। তিনি জানান, রঞ্জিতে যা খুশি হতেই পারে। খেলা বদলে যেতে পারে যে কোনও সময়। নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে গোটা টিমকে।