প্রথমে রাজ্যস্তরের স্প্রিন্টার। তারপর সাঁতারু। কিছুদিন টেবল টেনিসে মন। তারপর ক্রিকেট। প্রথমে ব্যাটার। আর এখন বোলার। তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে এমনই বৈচিত্র্য। তিনি বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার তিতাস সাঁধু। হুগলির চূচড়ার এই মেয়েটাই এখন ভারতের মুখ। স্থানীয় এলাকায় ব্যাটার হিসাবে নেটে হাতেখড়ি। খুব অল্প সময়ে নেট বোলার হয়ে ওঠা। তারপর ময়দান। সেখানে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশঙ্কর পালের কাছে তালিম নিয়ে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া। পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির তিতাস পেসের সঙ্গে দু-দিকে সুইং করাতে পারেন। থ্রি-কোয়ার্টার থেকে বাউন্সার তাঁর মূল অস্ত্র। চার ওভার ছয় রান দুই উইকেট। ইংরেজ বধে এটাই স্বপ্নের স্পেল তিতাসের।
৯০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাস করেছিলেন। কিন্তু ক্রিকেটের চাপে লেখাপড়া বেশ খানিকটা অনিয়মিত। তাতেও কিছু যায় আসে না তিতাসের। বরং এগিয়ে যেতে চান ক্রিকেটকে সম্বল করেই। ছাত্রীর বিশ্বকাপ জয়ে খুশি কোচ শিবশঙ্কর পালও। তিনি স্বীকার করছেন, তিতাস একটা বিস্ময়ের নাম। কারণ, নিজের উচ্চতাকে অনেকেই কাজে লাগাতে পারেন না। কিন্তু নিজের বোলিং অ্যাকশনে বাংলার এই ক্রিকেটার নিজের উচ্চতা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল।
শুধু বোলার নয়। তিতাসের ব্যাটিংয়ের হাতও বেশ ভাল। কারণ, ব্যাটার হিসাবে ক্রিকেট জীবন শুরু করার ফলে, বিগ হিট মারতে পারেন তিনি। স্কোয়ার অফ উইকেটেও শট খেলতে বিশেষ পারদর্শী হুগলির এই মেয়ে। এখন অপেক্ষা ঘরের ফেরার। সবাই তাকিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারকে একবার দেখার জন্য।