বর্তমানে এটাই কনসেপ্ট বলিউডে। যার শুরুটা হয়েছিল এই প্রজন্মের পরিচালকদের হাত ধরে। ওই তালিকার প্রথম সারিতে থাকবে পরিচালক ফারহান আখতার। বলিউড দাবি করে, দিল চাহতা হ্যায় ছিল একটা বিপ্লব। আউটডোরের সময় কমাতে একই সময়ে ওই ছবি শুটিং হয়েছিল মাল্টিপল লোকেশনে।
১৯৮৩ সালে ক্রিকেটে ভারতের বিশ্বজয়ের পরেই এমনই একটা ভাবনা ভেবে ফেলেছিলেন আধুনিক ভারতীয় ক্রিকেটের পিতামহ প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া। এশিয়ার মাটিতে ১৯৮৭ সালে প্রথমবার বসেছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সেই প্রথম, ভারত-পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা, এই তিন দেশ মিলে আয়োজন করেছিল এই বিশ্বকাপের।
আজ থেকে ৩৯ বছর আগে ভারতে বসে জগমোহন ডালমিয়া যা ভেবেছিলেন, তার আধুনিক সংস্করণ ফুটবলে করতে চলেছে ফিফা। ২০২৬ সালে একযোগে তিন দেশ মিলে আয়োজন করবে ফুটবল বিশ্বকাপ। আয়োজক আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডা। প্রথমবার এই বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮ দল।
এই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। এবার শতবর্ষের বিশ্বকাপ আয়োজনে আরও বড় সিদ্ধান্ত নিল জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর ফিফা। ১৯৩০ সালে কিক-অফ হয়েছিল প্রথম বিশ্বকাপের। সৌদি শহর রিয়াধে ফিফা কংগ্রেস থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিশ্বকাপের শতবর্ষকে স্মরণীয় করতে তিন মহাদেশের ছয় দেশে এবার ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ। যা বিরাট চমক বলেই দাবি ফুটবল পন্ডিতদের।
ঠিক হয়েছে, ইউরোপের দুই দেশ পর্তুগাল, স্পেনের সঙ্গে শতবর্ষের বিশ্বকাপের খেলা হবে আফ্রিকার মরক্কো, লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়েতে। শতবর্ষ আগে উরুগুয়ে থেকে শুরু হয়েছিল ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ। লুইস সুয়ারেজ, দিয়েগো ফোরল্যানের দেশে থেকেই হবে শতবর্ষের কিক-অফ।
স্বপ্ন সত্যি হল। বক্তা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আজ থেকে ছয় বছর পর ইউরোপের সবুজ-মেরুন জার্সিতে আর তাঁকে দেখা যাবে কীনা, তা জানা নেই। কিন্তু বিশ্বকাপের আয়োজক পর্তুগাল, এই খবরে এখন আপ্লুত সিআর সেভেন। আপ্লুত আর এক তারকা। তিনি লিও মেসি।