রাহুল দ্রাবিড়ের জুতোয় পা গলালেন গৌতম গম্ভীর। দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তি একটা আস্ত মূল্যবোধ। তাঁকে কোনও পরিধিতে মাপা বোধ হয় সম্ভব নয়। তাই গম্ভীরের কাজ অনেকটাই কঠিন। এমাসের শেষে শ্রীলঙ্কা সফর। আর সেই শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই গম্ভীরের যাত্রাপথ শুরু। কতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হতে পারে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারকে।
দ্রাবিড় যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেই সময় টিমে অন্যরকম পরিস্থিতি ছিল। রবি শাস্ত্রী ও বিরাট কোহলির অধীনে টিমের ঔদ্ধত্য চরমে। কিন্তু সাফল্যের ভাঁড়ার সেই অর্থে অনেকটাই নিচের দিকে। দ্রাবিড় ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন টিমকে। রাতারাতি কোনও সাফল্য আসে না, জানতেন তিনি। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে একই সঙ্গে দলকে শীর্ষে যায় টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে হারানোর নেপথ্য নায়ক দ্রাবিড়।
দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ভারত। ২০২৩-এ এশিয়া কাপে জয়ী টিম দ্রাবিড়ের ভারত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়। সবশেষে T20 বিশ্বকাপে সাফল্য। তবে ফাইনালে উঠে বেশ কিছু ব্যর্থতাও আছে রাহুল দ্রাবিড়ের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে হার। এই দুই যন্ত্রণা বুকে নিয়ে জাতীয় দলের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দ্রাবিড়।
গম্ভীর নিজেও জানেন, তাঁর সামনে এবার অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ। বিরাট-রোহিত যুগ হয়তো তাঁর সময়েই শেষ হয়ে যাবে। জাতীয় দলে নতুন তারকাদের সামলানো ও পাশাপাশি ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য নতুন দল তৈরি করা সবথেকে বড় চ্য়ালেঞ্জ। চলতি বছরই অস্ট্রেলিয়া সফরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তারপরই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও আছে। তাই আর দম ফেলার সময় নেই গম্ভীরের। কলকাতা নাইট রাইডার্স টিমে মেন্টর হয়ে ফিরেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন গম্ভীর। এবার জাতীয় দলের লড়াই। এই লড়াইয়ের সঙ্গে দেশের আবেগ জড়িয়ে। একটা ভুল সিদ্ধান্ত, লক্ষ লক্ষ ক্রিকেটপ্রেমীর মন ভেঙে দিতে পারে। এই গুরুভার নিঃশব্দে পালন করে গিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। কখনও সাফল্য এসেছে। কখনও আসেনি। গম্ভীরকে হিমশীতল মস্তিস্কে এই চাপ সামলাতে হবে। তবেই ভারতীয় দল বড় সাফল্য অর্জন করতে পারবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।