ভুল করেছিলেন তাঁর ছাত্ররা। এতটা তাড়াহুড়ো করার মনে হয় কোনও দরকার ছিল না। ইনদৌর টেস্টের প্রথম দিন শেষে পর এমনটাই মনে করেন ভারতের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। তবে পিচ তৈরি করতেও যে তাড়াহুড়ো হয়েছে, সেকথাও জানালেন তিনি। বিক্রমের মতে, টেস্ট ম্যাচের জন্য পিচ তৈরিতে যে মনসংযোগের প্রয়োজন ছিল, মনে হয় এখানকার কিউরেটর তা করেননি। বিক্রমের আশা, দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ৩০০ রানের মধ্যে আটকে দেওয়া যাবে। কারণ, প্রথম ঘণ্টা থেকেই বল ঘুরবে।
এদিকে, জাডেজার চার উইকেটে ইনদৌরে দিনের শেষে খানিকটা ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিল ভারত। তাতেও অবশ্য হোলকারের মাঠে ভারতকে ছাপিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনে ভারতকে ১০৯ রানে মুড়িয়ে দেওয়ার পর, দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের স্কোর ৪ উইকেটে ১৫৬ রান। দিনের শেষে ৪৭ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে সেই জাডেজার ভেল্কির কাছে আটকে যান অজিরা। ৬৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট জাডেজার।
ইনদৌর টেস্টে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে গেল ভারত। তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ভারতীয় ব্যাটিং দীর্ঘ হল মাত্র লাঞ্চের পরের একঘণ্টা পর্যন্ত। তিন অজি স্পিনার মিলেই গিলে খেয়ে নিল রোহিত শর্মাদের ব্যাটিংকে। ১৬ রানে ৫ উইকেট নিলে ম্যাথু কুনেম্যান। তিন উইকেট ন্যাথন লায়নের। মার্ফির ঝুলিতে এক উইকেট। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ বিরাট কোহলির।
হোলকারের মাঠে দুটি পরিবর্তন। রাহুলের বদলি শুভমন গিল। আর শামির বদলে উমেশ যাদব। তাতেও ব্যাটিং দূর্গের পতন রোখা গেল না। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তাঁর পুরনো অস্ত্র মিচেল স্ট্রার্ককে শুরু থেকেই রোহিতের পিছনে লেলিয়ে দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ক্যামরন গ্রিন। কিন্তু ভাঙন শুরু হয় লায়ন আসতেই।
নাগপুর টেস্টেই আগেই অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ম্যাথু কুনেম্যানকে। নাগপুরেও ভারতীয় ব্যাটিংকে বিব্রত করেছিলেন এই অজি স্পিনার। ইনদৌরে শুরু থেকে তাঁকে সামলাতে ব্যর্থ রোহিত থেকে বিরাট। যদিও কোহলি আউট হয়েছেন মার্ফির বলে। শেষবেলায় উমেশ যাদব ১৩ বলে ১৭ রান না করলে ১০০ রানের আগেই অলআউট হয়ে যেতে পারত ভারত।