এই মরশুমে নিলামের (Auction) পর গুজরাত (Gujrat Titans) এবং লখনউয়ের (Lucknow Super Gaintes) দল দেখে অনেক ক্রিকেট পন্ডিত নাকসিঁটকে ছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, এই দুই দলের পরিণত হতে আরও একটু সময় লাগবে। বিশেষ করে দুই দলের অধিনায়কদের নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কে এল রাহুল (K L Rahul) আইপিএলে পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য পাননি। আর অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandiya) অভিষেক মরশুম। প্রশ্ন উঠেছিল, সাত বছর মুম্বই শিবিরে কাটানোর পর হার্দিক কী সাফল্য পাবেন ? কারণ, এত বছর রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) ছত্রছায়ায় খুব বেশি কিছু করতে হত না হার্দিককে। তার উপর হার্দিকের চোট একটা বড় বিষয় ছিল। কিন্তু এই মরশুমের ৫৫টি ম্যাচ পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন সেই ক্রিকেট পন্ডিতরাই নিজেদের ভুল স্বীকার করছেন। কারণ গত ১৫ বছর আইপিএলে (Ipl 2022) যা হয়নি, এবার তা করে দেখিয়েছে প্রথমবার খেলতে আসা দুই দল, গুজরাত ও লখনউ। দু জনেই ১১টি ম্যাচ খেলছে। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন একবিন্দুতে রাহুল ও হার্দিক। মঙ্গলবার যে জিতবে, সেই এগিয়ে যাবে প্লে-অফের দিকে। গুজরাত ও লখনউকে নিয়ে সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) দাবি, আইপিএলের ইতিহাসে বিপ্লবের নাম কে এল রাহুল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। যাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন, দল নতুন হতে পারে, খেলাটা পুরনো।
প্রথম লেগে সুপার জায়েন্টসদের পাঁচ উইকেট হারিয়ে দিয়েছিল টাইটানস। সেই ম্য়াচে বল হাতে শামি এবং ব্য়াট হাতে রাহুল টেওটিয়া ও ডেভিড মিলারের তাণ্ডব এখন মনে আছে গুজরাতের সমর্থকদের। কিন্তু মঙ্গলবারের ম্যাচ খানিকটা ভিন্ন হতে চলেছে দুই দলের কাছে। কলকাতাকে ৭৫ রানে হারিয়ে এখন ফুটছেন লখনউয়ের নেতা রাহুল। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে সুপার জায়েন্টসরা। উল্টোদিকে পর পর দুটি ম্যাচ হেরে মাঠে নামছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গুজরাত।
দুটি দলই এখনও পর্যন্ত আটটি করে ম্যাচ জিতেছে। হেরেছে তিনটি করে ম্যাচ। তাই মঙ্গলবারের ম্যাচ প্লে-অফ নিশ্চিত করার স্বার্থে দুই দলের কাছেই কার্যত ফাইনাল। এই ম্যাচে বেশ কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে দুই শিবির থেকেই। মূলত মিডল অর্ডারে কিছু বদল ঘটাতে পারেন হার্দিক। প্রায় একই ইঙ্গিত লখনউ শিবির থেকে।
সবমিলিয়ে একটা টানটান ম্য়াচে অপেক্ষায় পুণ। জো জিতা ওহি সিকান্দার। এই রিংটোন নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাঠে নামবে গুজরাত ও লখনউ।