বলা হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (Ipl 2022) হল তরুণদের (Young) পারফর্ম করার মঞ্চ। গত ১৫ বছর ধরে এই টুর্নামেন্ট ভারতীয় ক্রিকেট দলে একাধিক তরুণ ক্রিকেটারের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। কিন্তু আইপিএল আবার 'বুড়ো'-দের কাছে নিজেদের নতুন করে প্রমাণের মঞ্চ। সেইমঞ্চেই মঙ্গলবার ব্যাট হাতে আরও একবার ত্রাতা হলেন ভারতের উইকেট-কিপার ব্যাটার দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। ৩৬ বছরের ডিকে ম্যাচ শেষে জানিয়ে গেলেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি।
আইপিএলের শুরু থেকেই খেলছেন দীনেশ কার্তিক। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) এই ক্রিকেটারের আইপিএল শুরু দিল্লি জার্সি গায়ে। এরপর একে একে মুম্বই (Mumbai), পাঞ্জাব (Punjab) হয়ে ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্যাঙ্গালোরের (Rcb) জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন ডিকে (Dk)। এরপর গুজরাত (Gujrat) হয়ে কলকাতা (Kolkata)। গত পনের বছরের আইপিএল কেরিয়ারে কলকাতাকে নেতৃত্বও দিয়েছেন ভারতের এই উইকেটকিপার (Indian Wicketkeepar)। যদিও তা মোটেই সুখর ছিল না কার্তিকের ক্রিকেট কেরিয়ারে।
আরও পড়ুন : এডিটরজি এক্সক্লুসিভ - মুম্বইয়ের গরম উপেক্ষা করে নেমে মগ্ন লখনউ সুপার জায়েন্টস
এই বছরের নিলামে তাঁর দর উঠেছিল সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবের বাইশ গজে দেখা যাচ্ছে বিরাট-ডুপ্লেসিদের রয়্যাল দলে, তিনি-ই হয়ে দাঁড়াচ্ছেন আসল রাজা। ভারতীয় ক্রিকেটে কার্তিকের অভিষেক ধোনির আগে। সেই ২০০৪ থেকে ২০২২। প্রায় ১৮ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারের পরেও দীনেশের দাবি, তাঁর আরও অনেক কিছু শেখার আছে। মঙ্গলবার ম্যাচ শেষের পর তিনি স্বীকার করেছেন, আইপিএল খেলার জন্য তিনি নিজেকে বদলেছে। ব্যাকরণের বাইরে এসে ব্যাট করার টেকনিক রপ্ত করেছেন। তাই আইপিএলে তারকাদের ভিড়ে এখন আর নিজেকে মেলে ধরতে অসুবিধা হচ্ছে না বলেই দাবি ডিকের।
কলকাতা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর অনেকেই অবশ্য কার্তিকের দল পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আরসিবি ক্যাম্পে ডিকেই আসল প্রাণভ্রমরা। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে সেটাই জানিয়ে গেলেন ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। আইপিএলে ২১৫ ম্যাচে দীনেশ কার্তিকের রান ৪০৯২। স্ট্রাইক রেট ১৩০। মঙ্গলবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে তিনি যখন ব্যাট করতে এসেছিলেন, তখন বেশ বেকায়দায় ছিলেন বিরাটরা। বাজির দরে এগিয়ে ছিল রাজস্থানও। কিন্তু স্রেফ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর তরুণ শাহবাজ আহমেদকে গাইড করে রাজস্থানের গ্রাস থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে গেলেন ডিকে।
অশ্বিনের এক ওভারে তাঁর ব্যাটে ২১ রান। আর সেটাই আরসিবির(RCB) জন্য টার্নিং পয়েন্ট। সবমিলিয়ে কার্তিক অপরাজিত ২৩ বলে ৪৪ রান করে। এই আইপিএলে ফ্লিক স্কুপ এখনও পর্যন্ত হিট। তিন ম্যাচে তাঁর ব্যাটে ৯০ রান। বিরাটের মুখেও হাসি চওড়া হচ্ছে। তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচে জয় আরসিবির।
সব মিলিয়ে নতুনদের মঞ্চে এক বুড়োর কামাল। ডিকের ব্যাটে উড়ছে বিরাটদের পতাকা। আর ডিকে বলছেন, তাঁর এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। ভাবা যায় !