আইসিসির খাতায় ফেল করল ইন্দোরের পিচ। শুক্রবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দু দেশের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। রোহিত শর্মা ও স্টিভ স্মিথের বয়ানের উপর ভিত্তিতেই হোলকার স্টেডিয়ামের পিচকে নিকৃষ্ট বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করল আইসিস। ফলে পয়েন্ট কাটা গেল ইন্দোরের। নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচের বেশি পয়েন্ট কাটা হলে, এক বছরের জন্য এই মাঠে কোনও আন্তর্জাতিক খেলা হবে না। গত দুটি টেস্টের মতো ইন্দোরেও ম্যাচ শেষ হয়েছে তিনদিনেই। এরআগে নাগপুর এবং দিল্লির পিচকেও অ্যাভারেজ বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট।
ঘরের মাঠে ভারতের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু নাগপুর থেকে ইন্দোর খেলছে পিচ। প্রথম দুটি টেস্ট জয়ের পর এই প্রশ্নকে পাত্তা দেননি ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু ইন্দোরে ফল উল্টো হতেই মুখ খুলতে হল তাঁকে। রোহিতের দাবি, তিনি মনে করেন না ভারতের কোনও প্রাক্তন অধিনায়ক এমন পিচে খেলতে পছন্দ করবেন। তবুও তাঁরা এই পিচে খেলছেন, কারণ সবাই ঘরের মাঠে নিজের শক্তি প্রয়োগ করে। এবং ঘরের মাঠে ভারতের শক্তি স্পিন। তাই একটি ম্যাচ হারে সমালোচনা হতে পারে না বলেও দাবি ভারত অধিনায়কের।
নাগপুর থেকেই এই সিরিজে চর্চায় বাইশ গজ। গত তিনটি ম্যাচই শেষ হয়েছে আড়াই দিনে। প্রাক্তনদের মতে, নাগপুর ও দিল্লি নিয়েও প্রশ্ন ওঠা উচিত ছিল। কারণ, ৩০ ঘণ্টার ম্যাচ কেন এত কম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে, এটা দেশের ক্রিকেট ভক্তদের জানা উচিত। সেই প্রশ্নই উঠেছিল ইন্দোর ম্যাচের শেষে। সেখানেই রোহিত জানিয়েছেন, বছরের পর বছর এটাই দস্তুর। ঘরের মাঠে নিজের শক্তি সব দেশ প্রয়োগ করে। অস্ট্রেলিয়া পেস উইকেট বানায়। ভারত স্পিন উইকেট বানিয়েছে। পার্থক্য এটাই বলে দাবি ভারত অধিনায়কের।
দোল, হোলি কাটিয়ে ৯ মার্চ থেকে আমেদাবাদে শুরু হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্ট। আমেদাবাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে কেমন হবে পিচ ? ইন্দোর টেস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এই মাঠে জিতলে, তবে বিশ্ব টেস্টের ফাইনাল খেলবে ভারত।