সেই স্পিন ঘূর্ণিতেই ভারতের মাঠে অসহায় ভাবে লুঠিয়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডের ৩৬ রানের বদলা নাগপুরে ৯১ রানে নিল ভারত। প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে অশ্বিন-জাডেজা এবং অক্ষর - এই ত্রিফলায় বিদ্ধ হল প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে অজি ইনিংসকে একাই ধসিয়ে দিলেন অশ্বিন। নতুন বলেও তাঁকে ঠেকাতে পারলেন না ওয়ার্নার, লাবুসেনরা। ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট অশ্বিনের। বাকি কাজটা করলেন জাডেজা, অক্ষর এবং শামি। ম্যাচে সাত উইকেট জাডেজার। প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৩২ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার রাস্তায় একধাপ এগিয়ে থাকল ভারত।
এই টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রতিটি মাঠকে বোর্ডের তরফে নির্দেশ ছিল, টেস্ট যেন পাঁচ পর্যন্ত খেলা হয়। কিন্তু কে কথা রাখে। নাগপুর তো রাখলই না। বরং আড়াই দিনেই ম্যাচ গুটিয়ে গেল। প্রথম দিনেই পিচের চরিত্র দেখে দীনেশ কার্তিক দাবি করেছিলেন, এই পিচে ভারত একবারই ব্যাট করবে। মিলে গেল সেই দাবি। প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করার পর, অপেক্ষা ছিল তিন স্পিনারকে অজি ব্যাটারদের পিছনে লাগিয়ে দেওয়ার। আর সেটাই করলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
সময় নষ্ট না করে নতুন বলেই অশ্বিনকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করলেন। যার ফসল খওয়াজা, ওয়ার্নার, রানশো, হ্যান্ডকম্ব, অ্যালেক্স ক্যারির মাঠে আসা আর প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়া। বিশ্বের টেস্টে ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটার মানস লাবুসানেকে এবার আউট করলেন জাডেজা। অস্ট্রেলিয়াকে নাগপুরে লজ্জার হাত থেকে খানিকটা হলেও উদ্ধার করলেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার ৯১ রানে তিনি অপরাজিত ২৫। ম্যাচের সেরা নিঃসন্দেহে রবীন্দ্র জাডেজা। চোট সারিয়ে ফিরে দুরন্ত কামব্যাক।