আইপিএলের প্রথম সপ্তাহেই দুরন্ত পারফরম্য়ান্স। T20 ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত যে কটি ম্য়াচ হয়েছে, তার মধ্যে উঠে এসেছেন দুই নতুন তারকা। আর বোর্ডের সঙ্গে বিদ্রোহ করেও আইপিএলে এই মরশুমে প্রথম সেঞ্চুরি করে ফেললেন ইশান কিষাণ।
গত শনিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। প্রথম ম্য়াচে মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওই ম্য়াচে ইডেনে ১৭৪ রান তোলে নাইটরা। অধিনায়ক রাহানে হাফসেঞ্চুরি করেন। নারিনের ব্য়াটে আসে ৪৪ রান। ৩০ রান করেন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। কিন্তু বিরাট কোহলি ও ফিল সল্ট দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করেন। আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদার ১৬ বলে ৩৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ২২ বল আগেই খেলা শেষ করে দেয় আরসিবি।
মেগা নিলামের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কিনে নিয়েছিল ইশান কিষাণকে। প্রথম ম্য়াচেই দুরন্ত পারফরম্যান্স 'বিদ্রোহী' ইশানের। মাত্র ৪৭ বলে ১০৬ রান আসে তাঁর ব্য়াটে। রবিবার আইপিএলে প্রথম ম্য়াচে সেঞ্চুরি করে বোর্ড, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আর রোহিত শর্মাকে যেন বার্তা দিলেন ইশান কিষাণ। ৩১ বলে ৬৭ রান করেন ট্রেভিস হেড। ১৪ বলে ৩৪ রান আসে হেনরি ক্লাসেনের ব্য়াটে। ২০ ওভারে ২৮৬ রান করে সানরাইজার্স। ধ্রুব জুরেল ৭০ রান করেন। অধিনায়ক সঞ্জু স্য়ামসনের ব্য়াটে আসে ৬৬ রান। সিমরন হেটমেয়ার ২৩ বলে ৪২ রান করেন। ২৮৭ রান তাড়া করতে নেমে ২৪২ রানে শেষ হয়ে যায় রাজস্থান রয়্য়ালস।
রবিবারের দ্বিতীয় ম্য়াচে মুখোমুখি হয় চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম ম্য়াচে মাত্র ১৫৫ রানে শেষ হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সিএসকের নতুন বোলার খলিল আহমেদ একাই তিন উইকেট নেন। চিপকের পিচে এই রান ডিফেন্ড করাই যায়। রাহুল ত্রিপাঠীকে ফেরান দীপক চাহার। মুম্বইয়ের নতুন তারকা ভিগনেশ পুথুর চেন্নাইয়ের তিন ব্য়াটারকে একাই ফেরান। ২৬ বলে ৫৩ রান করেন অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াড়। রুতুরাজ, শিবম দুবে ও দীপক হুডার উইকেট তুলে নেন ভিগনেশ। স্য়াম কারেনের উইকেট নেন উইল জ্য়াকস। রবীন্দ্র জাদেজাকে রান আউট করেন চাহার। ক্রিজে নামতে হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কিন্তু রাচিন রবীন্দ্র ম্য়াচ ফিনিশ করে আসেন।
এদিকে প্রথম ম্য়াচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয় দিল্লি ক্য়াপিটালস। ২০৯ রান তুলেও হারতে হয় লখনউকে। আইডেন মারক্রম ব্যর্থ হলেও মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরাণ ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শূন্য় রানে ফেরেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ১৯ বলে ২৭ রান করেন ডেভিড মিলার। শার্দুল ঠাকুর প্রথম ওভারেই দিল্লির দুই উইকেট তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে ফের উইকেট হারায় দিল্লি। ৫০ রানে ৪ উইকেট, ৬৫ রানে পাঁচ উইকেও হারিয়ে ফেলে দিল্লি। এখান থেকেই বড় পার্টনারশিপ গড়েন ট্রিস্টান স্টাবস ও আশুতোষ শর্মা। স্টাবস ৩৪ রানে ফিরলেও ক্রিজে ছিলেন আশুতোষ। স্নায়ুর চাপ একা কাটিয়ে দিল্লিকে জয়ে ফেরান বিপরাজ নিগম। ১৫ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। ওখানেই খেলা ঘুরে যায়।