১ রানে জিতে আইপিএলে প্লে-অফে লখনউ সুপার জায়ান্টস। কলকাতার ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারিয়ে প্লে-অফের ছাড়পত্র পেলেন ক্রুনাল পান্ডিয়ারা। রান তাড়া করতে নেমে দুর্ধর্ষ ব্যাটিং রিঙ্কুর। কিন্তু লড়াই ব্যর্থ। ইডেনে ইয়াশ ঠাকুরের শেষ ওভারে এই প্রথম ম্যাচ ফিনিশ করতে পারলেন না রিঙ্কু। ১৭৫ রান তুলেই থেমে গেল কলকাতার ইনিংস। যার অ্যাডভান্টেজ নিয়েই কলকাতা থেকে প্লে-অফ খেলতে চেন্নাই যাচ্ছে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
ম্যাচ শেষে আইপিএল প্লে-অফে ওঠায় স্বস্তি লখনউ অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়ার। একই সঙ্গে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রিঙ্কু সিংকেও। ক্রুনাল জানান, এই আইপিএলে বোলারদের কাছে ত্রাস ছিলেন রিঙ্কু। উল্টোদিকে ম্যাচ হেরে নীতিশ রানার দাবি, একটা ক্রিকেট দলে তিনটি বিভাগ হয়। এই মরশুমে তাঁর দলে এই তিনটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করতে ব্যর্থ। আর সে কারণেই তাঁরা আইপিএলের বাইরে। যদিও নাইট অধিনায়কের গলাতেও সেই রিঙ্কুর প্রশংসা।
এদিন টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক নীতিশ রানা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিকোলাস পুরানের বড় রানের সৌজন্যে ১৭৬ রান তোলে লখনউ। রানতাড়া করতে নেমে ভেঙে পড়ে কেকেআরের ব্য়াটিং লাইন আপ। রবি বিষ্ণোই ও ইয়াশ ঠাকুর ২টি করে উইকেট পান। এরপরই একা খেলা ধরেন রিঙ্কু সিং। তাঁর ৩৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি।
শেষ ওভারে ২১ রান বাকি ছিল। ওয়াইড, দুটি ছয়। গোটা দলের চাপ মাথায় নিয়ে একাই খেলছিলেন রিঙ্কু। শেষ বলে বাকি ছিল ৮ রান। সেই বলেও রিঙ্কুর ব্যাট থেকে এল ৬। ১৪ ম্যাচে ৪৭৪ রান করে এই মরশুমে আইপিএল শেষ করলেন রিঙ্কু সিং। স্ট্রাইক রেট ১৫০। ম্যাচ শেষে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরের থেকে পরামর্শ নিতে। ম্যাচের সেরা নিকোলাস পুরানও জানিয়ে গেলেন, শেষ ২ ওভারে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন কেকেআরের এই বাঁ হাতি। ইডেনে এই মরশুমের আইপিএলের শেষ ম্যাচে ফিনিশার হতে পারলেন না রিঙ্কু। জিততেও পারল না কেকেআর।