গ্যালারিতে বারবার ভেসে উঠছিল রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) প্রথম অধিনায়ক শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) ছবি। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে জস বাটলারের (Jos Buttler) ছয়ে রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল ফাইনালে (IPL Mega Final)। তার পর যেন আরও একটু বেশি করে ভেসে আসছিল স্মৃতি। ২০০৮, প্রথম আইপিএল। ক্যাপ্টেন শেন ওয়ার্ন। আন্ডারডগ টিম নিয়ে আইপিএল ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন। মাঝে ১৪টা বছর কেটে গিয়েছে। ওয়ার্নের পর এবার বাটলারের একার ব্যাটে ভর করে আইপিএল ফাইনালে পৌঁছে গেল গোলাপি ব্রিগেড।
এদিন আরসিবি প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৫৭ রানে টার্গেট দেয়। বড় রান পাননি বিরাট কোগলি। প্রাসিদ কৃষ্ণার ডেলিভারিতে ৭ রানে ফেরেন তিনি। ৪২ বলে ৫৮ রান করেন গত ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার রজত পাতিদার। রান তাড়া করতে নেমে একই অবস্থা হয় রাজস্থানেরও। প্রথমেই আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। কিন্তু বাটলারের ব্যাটিং ফর্ম এবার আইপিএল জুড়েই অব্যহত। এখনও পর্যন্ত এবার আইপিএলে ১৬টি ম্যাচ খেলে ৮২৪ রান করে ফেললেন তিনি। চারটি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফসেঞ্চুরি। ১১ বল বাকি থাকতেই এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ফাইনালে তুললেন তিনি। রবিবার মেগাফাইনালে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবেন বাটলাররা।
আরও পড়ুন: ইডেনই সেরা ভেন্যু, আইপিএল মেগা ফাইনালের আগে টুইট মহারাজের
ভাগ্যের জোরে এবার আইপিএল প্লে-অফে উঠেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালার। প্লে-অফে লখনউ সুপার জায়ান্টকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সুযোগ পায় আরসিবি। কিন্তু শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় রাজস্থান রয়্যালস। গত ম্যাচে ভাল খেলা রজত পাতিদার এই ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু দাঁড়াতে পারেনি বাকি টিম। তিনটি করে উইকেট নেন প্রাসিদ কৃষ্ণা ও ওবেদ ম্যাকয়।