ক্রিকেটবিশ্বে একটা বিষয় খুবই পরিষ্কার। যে দেশে ম্যাচ, দাপট সেই দলেরই। উপমহাদেশের উইকেটে দাপট থাকে স্পিনারদের। আর উপমহাদেশের বাইরের উইকেটে পেসারদের দাপট। এটাই ক্রিকেটের চেনা পরিধি।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে হিসেবটা পাল্টে দিয়েছিল কিউয়ি ব্রিগেড। প্রথম টেস্টে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও টেস্ট জেতা সম্ভব হয়নি ভারতের। কিন্তু পুনে টেস্টে একই ভুল করেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলে নেওয়া হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে। তিন বছর পর টেস্টে কামব্যাক করেই নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। প্রথম ইনিংসে একাই তুলে নিলেন ৭ উইকেট। ঘরের মাঠের পরিবেশ, পিচ, সব ব্যবহার করে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামালেন ওয়াশিংটন।
রাফায়েন নাদালের ফ্যান ওয়াশিংটন। ২০২১ সালে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে অভিষেক করেন তিনি। ব্রিসবেনে সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট নেন। সেই বছরই ইংল্যান্ড সিরিজে চতুর্থ টেস্টে সুযোগ পান ওয়াশিংটন। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট পাননি। এতদিন পরে পুনেতে দেশের জার্সিতে কোনও টেস্টে সুযোগ পেলেন। ৫৯ রানে ৭ উইকেট তুলে নিলেন। তাঁর হাত ধরেই এই ম্যাচে সুবিধাজনক জায়গায় টিম ইন্ডিয়া। তিন উইকেট তুলে নিলেন তাঁর চেন্নাই টিমের সিনিয়র রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিন উইকেট নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সবথেকে বেশি উইকেটের মালিক হলেন অশ্বিন। পেরিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লিয়নকে। ৪৩টি টেস্টে ১৮৭ উইকেট ছিল লিয়নের। ১৮৯টি উইকেট তুলে শীর্ষে অশ্বিন।
প্রথম দিন খেলা শেষ হওয়ার পর ওয়াশিংটন সুন্দর জানান, "সবই ঈশ্বরের পরিকল্পনা, গড'স প্ল্যান। স্বপ্নপূরণ হল। কয়েক সপ্তাহ আগে এমনই ভেবেছিলাম। সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগাতে পেরেছি। এই সিরিজে প্রথম থেকে দলে ছিলাম না।" ওয়াশিংটন জানিয়েছেন দুদিন আগে রোহিত শর্মা ও গৌতম গম্ভীর তাঁকে জানান, দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে হবে তাঁকে।