২০০৪ থেকে ২০২৪- টানা ২০ বছর পর্তুগালের জার্সিতে ইউরো কাপ খেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। অংশ নিলেন মোট ৬টি ইউরো কাপে। শুক্রবার সম্ভবত নিজের জীবনের শেষ ইউরো কাপের ম্যাচ খেলে ফেললেন আধুনিক ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকা৷ অন্তত তাঁর নিজের কথা ধরলে এটাই তাঁর জীবনের শেষ ইউরো কাপ৷ তা সত্ত্বেও 'সম্ভবত' লিখতে হচ্ছে, কারণ তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, এমনও হতে পারে সিদ্ধান্ত বদলে ফের নেমে পড়লেন মাঠে। তবে বয়স কি আর তাঁকে সেই সুযোগ দেবে? সম্ভবত নয়।
২০০৪ সালে পর্তুগালের জার্সিতে প্রথম ইউরো কাপ খেলেছিলেন৷ তখনও লুই ফিগোতে আচ্ছন্ন পর্তুগিজরা৷ রোনাল্ডো উঠতি তারকা৷ তারপরের দুই দশকে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন সিআর সেভেন৷ তিনি নাকি লিওনেল মেসি- কে শ্রেষ্ঠ, সেই তর্কে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে পৃথিবী।
মেসি বিশ্বকাপ জিতেছেন। রোনাল্ডো জেতেননি৷ কিন্তু ২০১৬ সালে পর্তুগালকে ইউরো কাপ জিতিয়েছেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি সিআর সেভেন নিজের দেশকেও গর্বিত করেছেন। ৫টি বিশ্বকাপ, ৬টি ইউরো কাপ খেলেছেন পর্তুগালের জার্সিতে। দেশের জার্সিতে শতাধিক গোল কজলরেছেন। অবশেষে শেষ হতে চলেছে রোনাল্ডোর আশ্চর্য দৌড়৷ বয়স থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। কেরিয়ারের প্রান্তসীমায় পৌঁছে ৫ বারের ব্যালন ডি'ওর জয়ী এখন খেলছেন সৌদি আরবের লিগে৷ দেশের জার্সিতে সম্ভবত আর তাঁকে দেখা যাবে না৷ ক্লাবের জার্সিতেও বা আর ক'দিন?
অসংখ্য স্মৃতি, অসাধারণ একঝাঁক মুহূর্ত, আশ্চর্য সব গোল দিয়ে সাজানো রোনাল্ডোর কেরিয়ার৷ তাঁকে মিস করবে টিম পর্তুগাল। মিস করবে গোটা ফুটবল দুনিয়া। নায়ক বা প্রতিনায়কের তকমার আড়ালে তিনি এক অদ্ভুত জাদুকর। বিদায়, ম্যাজিসিয়ান৷ বিদায়, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।