শরীরে ট্যাটুর মাধ্যমে নিখুঁত নকশা করার কোনও আগ্রহ ছিল না লিওনেল মেসির। বলতে গেলে ভয়ই পেতেন তিনি। কিন্তু একদিন সব বদলে যায়। বার্সেলোনায় থাকাকালীন দানি আলভেজ়কে দেখেই ট্যাটুতে আগ্রহ বাড়ে মেসির। প্রেমিকা অ্যান্তোনেলার আগ্রহে বর্তমানে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের শরীরে ১৮টি ট্যাটু। বিশ্বকাপের তাঁর হাতের ট্যাটুতে পদ্মফুল নজর কেড়েছে। তবে সব কটি ট্যাটুই অর্থবহ।
বিশ্বকাপের মরশুমে দেখে নেওয়া লিওনেল মেসির শরীরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্যাটু।
লিওনেল মেসি পরিবারের খুবই কাছের। এবার বিশ্বকাপেও জয়ের প্রার্থনা করেছেন তাঁর মা। মেসির পিঠে মায়ের একটি ট্যাটু আছে। যেখানে মায়ের মুখ খোদাই করে আঁকা।
২০১২ সালের ২ নভেম্বর প্রথম বাবা হন মেসি। সন্তানের জন্মের পর ফেসবুকে লেখেন, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ তিনি। এরপরই একটি ট্যাটু করেন মেসি। মেসির বাঁ পা। যার সাহায্যে এত গোল করেছেন, সেখানে দেখা যায় ছোট্ট থিয়াগোর দুই হাত ট্যাটু হয়ে জড়িয়ে আছে।
গোড়ালির একটু উপরে, যেখানে থিয়াগোর দুটি হাতের ট্যাটু করান, ঠিক সেখানেই থিয়াগোর নামের ট্যাটুও করান মেসি। নামের বাইরে একটি ভালবাসার চিহ্নও আঁকান লিও।
ওই বাঁ পায়েই আরও একটি ট্যাটু আছে লিওনেল মেসির। থিয়াগোর হাতের উল্টো দিকে আছে একটি ফুটবলের ছবি। মেসি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, ফুটবলই তাঁকে এত বড় তারকা বানিয়েছে। ফুটবল না খেললে তিনি না খেয়ে হয় তো মরে যেতেন। ফুটবলের প্রতি ভালবাসাতেই এই ট্যাটু। পায়ে ১০ নম্বরের ট্যাটুও করা আছে।
ধর্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিগত জীবন গোপনই রাখেন লিওনেল মেসি। বরাবর অন্তর্মুখী তিনি। একবার শোনা যায়, ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না মেসি। এরপরই দেখা যায়, মেসির ডান বাহুতে প্রভু যিশুর ট্যাটু।
যিশুর ঠিক নিচে, মেসির হাতে সবচেয়ে সুন্দর ও গভীর অর্থের ট্যাটু পদ্মফুল। পদ্মের অনেক অর্থ। মেসির হাতে যে পদ্ম আছে তা পুনর্জন্মের প্রতীক। নতুন শুরু, নতুন শুদ্ধতা, নতুন আলো নিয়ে আসার প্রতীক।
এছাড়া মেসির হাতে প্রেমিকা অ্যান্তোনেলার চোখের ট্যাটু দেখা যায়। কোমরে তাঁর ঠোঁটের ট্যাটুও আঁকিয়েছেন এলএম টেন।