চার বছর আগের স্পার্টাক স্টেডিয়াম। সেই স্মৃতি যেন বৃহস্পতিবার রাতে ভেসে উঠল দোহার 974 স্টেডিয়ামে। আইসল্যান্ডের পর বিশ্বকাপের মঞ্চে এবার পোল্য়ান্ড। ফের পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেন না লিওনেল মেসি। অথচ ম্য়াচের সাইতিরিশ মিনিটে এই পেনাল্টি তিনি নিজেই আদায় করেছিলেন। ডাচ রেফারিকে কার্যত চাপে ফেলেই আর্জেন্টিনার জন্য পেনাল্টি আদায় করেছিলেন অধিনায়ক।
তবে মেসির এই পেনাল্টি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ, পোল্য়ান্ডের ছয় গজের বক্সের মধ্য়ে ফিফটি-ফিফটি বল তাড়া করছিলেন লিও মেসি এবং পোলিশ গোলকিপার। মাথায় লেগে বল বেরিয়ে যাওয়ার পরেই শূন্য় ঝাঁপানো গোলকিপারের হাত লেগেছিল মেসির কপালে। প্রাক্তনদের প্রশ্ন, ,মানুষের ভুল ধরার জন্যই অত্যাধুনিক প্রযুক্ত ব্যবহার করেছে ফিফা। কিন্তু প্রযুক্তির ভুল কে ধরবে ? সে যাই হোক, পোল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়ে মাঠে নেমে কেমন খেললেন লিও মেসি ? নব্বই মিনিট ভাল-মন্দে কেটেছে তাঁর এই ম্য়াচ।
প্রথমার্ধে ডি মারিয়াকে পাশে নিয়ে অনেক বেশি সক্রিয় ছিলেন তিনি। সাতষট্টি মিনিটে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল পেয়ে যেতেই যেন নিজেকে একটু গুটিয়ে নিলেন লিও। দম বাঁচিয়ে রাখলেন অস্ট্রেলিয়া ম্য়াচের জন্য। কারণ, কাতার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই এমন অনেক কিছু হচ্ছে, তা মোটেই হওয়া উচিত ছিল না। যেটা মেসি নিজেও জানেন, তাই অনেকটা উইথড্রল সুইপারের ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। মাঝে মধ্য়ে পোলিশ ডিফেন্সকে হাট করে খুলে গোলের সুযোগ তৈরি করছিল। কখনও আবার চেষ্টা করছিলেন সলো রানে মুভমেন্ট তৈরি করার।
তবে এটা ঠিক, নকআউটে ওঠায় তিনিও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। কারণ, চার বছর আগের রাশিয়ার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সব চিত্রনাট্য মিলে যাচ্ছে। এমনকী পেনাল্টি নষ্ট সেটাও মিলে গেল। মিলল না শুধু প্রি-কোয়র্টারে ফ্রান্সের মুখোমুখি না হওয়া। কারণ, রাশিয়া মেসিদের ছুটি হয়েছিল ফ্রান্সের হাতেই। ম্য়াচের ফল ছিল ফ্রান্স চার, আর্জেন্টিনা তিন।