ম্য়াচের বয়স তখন ১০ মিনিট। পেন্টালি থেকে মেসির গোল। বুয়েন্স আয়ার্স থেকে কলকাতার বটতলা মঙ্গলবারের দুপুরে একসঙ্গে লাফিয়ে উঠল। কিন্তু মঙ্গলবারের কাতারে চিত্রনাট্যে যে এত টুইস্ট থাকবে, তা মেসি কেন ভগবানও বুঝতে পারেননি। আর্জেন্টিনা একজন মেসি নিয়ে এসেছে। কিন্তু ডিফেন্সে কারা দাঁড়িয়ে আছে। আজ থেকে চার বছর আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনা ছিটকে গিয়েছিল, তাদের দুর্বল ডিফেন্সের জন্য। এদিনও কাতারের মাঠে চার বছর আগের সেই স্মৃতি ফিরে এল। আটচল্লিশ ও তিপান্ন মিনিটে দুটি গোল হজম করে, হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল মেসির আর্জেন্টিনা।
খোলা মনে খেলবেন মেসি। এমনটাই জানিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ স্কোলানি। কিন্তু মেসিকে খোলা মনে খেলতে দিল না সৌদি আরব। টু ম্য়ান মার্কিংয়ে গোটা ম্য়াচে লিওকে আটকে রাখল তারা। যদিও ম্য়াচের প্রথমার্ধে একাধিক বার গোল করেছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিবারই হয় অফসাইড না হলে ভারের গেরোতে তা বাতিল হয়ে যায়। বিশেষ করে মেসিকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলে আর্জেন্টিনাকে বোকা বানায় সৌদি আরব।
দ্বিতীয়ার্ধে অন্য মেজাজেই শুরু করেন সবুজ বাজপাখিরা। যার ফসল পরপর দুটি গোল। এরপর ফের নিজেদের দূর্গ সামলে তারা রুখে দিল আর্জেন্টিনাকে। ম্য়াচে অনবদ্য সৌদি গোলকিপার আল-ওয়েশি। দ্বিতীয়ার্ধে লাস্ট ডিফেন্স হিসেবে একাই সৌদি আরবের পতন রুখে দেন তিনি। বিশেষ করে মেসি এবং ডি মারিয়ার পা থেকে বল তুলে নেন।