শনিবাসরীয় বিকেলে কালবৈশাখীর মতোই বাংলাদেশের (Bangladesh) বসুন্ধরার গোলে আছড়ে পড়ল লিস্টন ঝড়। তাঁর হ্যাটট্রিকেই যুবভারতীতে বাজিগড় সবুজ-মেরুন (Maroon & Green)। এই ম্যাচের আগে অনেক ধোঁয়াশা, দোটানা ছিল। বিশেষ করে নতুন মরশুমে ডেভিড উইলিয়ামস (David Williams) থাকবেন কীনা, সেই প্রশ্ন এই ম্যাচের আগে ঝুলে ছিল। ৭৭ মিনিটে ক্লাবের হয়ে শেষ গোলটি উইলিয়ামসের। কালবৈশাখীর জেরে এদিন মাঝপথে প্রায় ১১ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। কিন্তু থামেনি সবুজ-মেরুন ঝড়। বড় ব্য়বধানে এই ম্যাচ জিতে শেষ ম্যাচে মেজিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে এটিকে-মোহনবাগান (Atk-Mohun Bagan)।
এএফসি কাপের (AFC Cup) গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে গোকুলামের কাছে হেরে যাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছিল মোহনবাগান।নক-আউটে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে জিততেই হত সবুজ-মেরুনকে। এই বড় জয়ে একদিকে যেমন মোহনবাগানের সুবিধা হল, অন্যদিকে তেমনি গোলপার্থক্যেও অনেকটা পিছিয়ে গেল বাংলাদেশের ক্লাবটি।
এদিন ম্যাচের শুরুটা শান্তভাবেই হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে ঝড়ের পূর্বের স্থিতাবস্থা ছিল, সেটা হয়তো মাঠে বসে অনেকেই অনুধাবন করতে পারেনি। আকাশ শুরু থেকেই মেঘলা ছিল। খেলার শুরুর পর নেমে আসে কালবৈশাখী। খেলা শুরুর ১১ মিনিট পর ঝড়ো হাওয়ার জন্য সেই ম্যাচ স্থগিত করে দিতে হয় হয়। প্রায় ৫০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর শুরু হয়।
কিন্তু এরপরই মাঠে ঝড় তোলেন লিস্টন (Liston Colaco)। পরপর গোল করে বসুন্ধরার কোমর ভেঙে দেন তিনি। তাঁর পা থেকে প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের ২৪ মিনিটে। তারপর ৩৩ মিনিটে ফের গোল। প্রথমার্ধে মোহনবাগান এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কিছুক্ষণ বাদে ফের অনবদ্য গোল করেন লিস্টন। গোয়ানিজ তারকার হ্যাটট্রিকই সবুজ-মেরুনের জয় নিশ্চিত করে দেয়। এরপর অবশ্য ৭৭ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামস এসে বসুন্ধরার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ডেভিড উইলিয়ামস।