ম্য়াচের বয়স ৩৮ মিনিট। গর্জে উঠল দোহার 974 স্টেডিয়াম। পেনাল্টি মারতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। উল্টো দিকে পোলিশ গোলকিপার চেজনিক। খানিকক্ষণের মধ্য়েই নিঃস্তব্ধতা গ্রাস করল গোটা স্টেডিয়ামকে। কারণ, মেসির পেনাল্টি বাঁচিয়ে তখন হিরো চেজনিক। তবুও বুধবারের রাত ছিল আর্জেন্টিনার। তাই মাস্টারমশাইয়ের ব্য়র্থতা ডাকা পড়ে গেল দুই নব্য ছাত্রের কীর্তিকে। পোল্য়ান্ডকে ২-০ গোল হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। স্বস্তি বুয়েন্স আয়ার্স থেকে বাংলাতে। ম্য়াচের ৪৬ মিনিটে আর্জেন্টিনার প্রথম গোল অ্যালেক্সি ম্য়াক অ্য়ালিস্টারের। আর ৬৭ মিনিটে গোলদাতা জুলিয়ান অ্য়ালভারেজ। ২-০ গোলে ম্য়াচ হেরেও আর্জেন্টিনার সঙ্গেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পোল্যান্ড। কারণ পয়েন্ট সমান হলেও গোলপার্থক্য়ে মেক্সিকোর থেকে এগিয়ে পোলিশরা।
গ্রুপের দ্বিতীয় হিসাবে এদিন মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। গায়ে ছিল গাঢ় নীল জার্সি। আর্জেন্টাইন ভক্তদের কাছে যা অপয়া। কিন্তু কাতারে মলিনা, ডি পল, ডি মারিয়ারা বুধবার সেই মিথ ভেঙে দিলেন। এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সেরা খেলাটা এদিন পোল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে খেলল আর্জেন্টিনা। পাস, পাস এবং পাস। কত ডিফেন্স করবে পোল্যান্ড। একা কত গোল বাঁচাবেন পোলিশ গোলকিপার চেজনিক। কখন মেসি-মারিয়া-মলিনা, তো কখনও মেসি-ডি পল-ম্য়াক অ্য়ালিস্টার। এই ছোট্ট ছোট্ট ত্রিভুজে পোলিশ ডিফেন্স এদিন চিড়ে দেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। মাঠে হাজির ছিলেন গত দুটি বিশ্বকাপ দলের দুই সদস্য। একজন মারিও ক্য়াম্পোস। অন্যজন ভালদানো। তাঁদের সামনে এই ম্য়াচে স্কোলানির ছেলেরা পাস খেলেছে ৮৬৭টা। আর তাতেই পোলিশ ডিফেন্স তাসের ঘরের মতো পড়েছে।
মেসি পেনাল্টি মিস করেছেন ৩৮ মিনিটে। তার ১০ মিনিটের মধ্য়েই গোল করে তা পুশিয়ে দিয়েছেন ম্য়াক অ্যালিস্টার। তাঁর বাবা কার্লোস একসময় ব্রাজিল দলের নিয়মিত খেলছেন। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর আটান্ন সেকেন্ডের মধ্যে ১-০ গোলে এগিয়ে যান মেসিরা। ৬৭ মিনিটে জুলিয়ান অ্য়ালভেরাসের গোলে মেসির একটা ছোট্ট অবদান। কারণ, এই মুভমেন্ট প্রথম টাচ ছিল মেসির। ফিনিশ করেন অ্য়ালভেরাস।
দুই থেকে এক হয়ে নক-আউটে আর্জেন্টিনা। ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মেসিরা। রাউন্ড অফ সিক্সটিনে তাঁদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। প্রায় ৩৬ বছর পর নক-আউটে পোল্য়ান্ড। প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।