বলিং পজিশন, উইংয়ের ব্যবহার, পাসিং, কাউন্টার অ্যাটাক। সবই ছিল। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ভাল ফুটবল খেলেও হার কানাডার। পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেননি কানাডার আলফানসো ডেভিস। খেলা শেষ হয় ১-০ গোলে। বেলজিয়ামের হয়ে একমাত্র গোল করেন মিশি বাতশুয়ায়ি।
২০১৮ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল বেলজিয়াম। তবে এবার বিশ্বকাপে এই টিমের সঙ্গে ফারাক অনেকটাই। ৪ বছর কেটে গিয়েছে। গতবার বিশ্বকাপে সেরা ফুটবলার এডেন হ্যাজার্ডের খেলায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট। চোট পেয়ে টিমে ছিলেন না লুকাকু। কেভিন ডি ব্রুইনের উপর আশা ছিল। কিন্তু গোটা ম্যাচে কানাডার ফুটবলারদের বল দখলে সেভাবে খেলা তৈরিই করতে পারেনি বেলজিয়াম।
এদিকে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে বারবার আক্রমণ তৈরি করলেও একবারও ফিনিশ করতে পারল না কানাডা। ম্যাচের ১০ মিনিটে VAR প্রযুক্তির সাহায্যে পেনাল্টি পায় কানাডা। সেই শট থেকে গোল মিস করেন কানাডার স্ট্রাইকার আনফানসো ডেভিস। এরপর জোনাথন ডেভিড, টাজন বুকাননরা বারবার গোলের সুযোগ পান। কিন্তু বেলজিয়ামের গোলকিপার তিবো কুর্তোয়া প্রতিহত করেন। পাল্টা আক্রমণে গিয়ে প্রথমার্ধের একেবারে শেষে এসে গোল করে ফেলেন মিশি বাতশুয়ায়ি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। সেখানেই খেলা শেষ হয়ে যায় কানাডার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ছক বদলে ফেলে বেলজিয়াম। কানাডার আলফানসো ডেভিস, জোনাথন ডেভিডদের আটকাতে ওয়ান টু ওয়ান মার্কিং করে। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কিছু সুযোগ পায় কানাডা। কিন্তু পরিকল্পনা ও ফিনিশিংয়ের অভাব ভুগতে হয় গোটা টিমকে। জিতেও খুব একটা স্বস্তির জায়গায় নেই বেলজিয়ামও। তবে জয় দিয়ে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু। এটাই ইচিবাচক হবে টিমের পক্ষে।