বিশ্বকাপে সাম্বা ঝড়। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল (Brazil Wins)। টিমের হয়ে গোল করলেন ভিনিসিয়াস, নেইমার, রিচার্লিসন ও পাকুয়েতা। জাপানের পর দ্বিতীয় এশিয়ান টিম হিসেবে বিদায় নিল দক্ষিণ কোরিয়াও (Brazil vs South Korea)।
ক্যামেরুনের কাছে হারের পর আশঙ্কা ছিল। নক-আউটে এদিন শুরু থেকে চেনা ছন্দে ছিল ব্রাজিল। ম্যাচের প্রথম ৩ মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ তৈরি হয়। ৭ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে প্রথম গোল দেন ভিনিসিয়াস। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই গোল পান নেইমার। এরপরই কোরিয়ান ফুটবলারদের মানসিকতায় চিড় ধরে। ২৯ মিনিটে তৃতীয় গোল আসে রিচার্লিসনের দুর্ধর্ষ ফিনিশিংয়ে। থিয়াগো সিলভার ওয়ান টাচ বলে গোল করেন তিনি। ৩৬ মিনিটে ব্রাজিলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন লুকাস পাকুয়েতা। দ্বিতীয়ার্ধে কোরিয়ানরা লড়াই করেলও ম্যাচের রাশ ধরা সম্ভব হয়নি। ৭৫ মিনিটে কোরিয়ার সম্মান রক্ষার্থে একমাত্র গোল করেন সিয়ুং হো।
আরও পড়ুন: নায়ক ডমিনিক লিভাকোভিচ, ক্রোট গোলকিপারের হাতেই বিশ্বকাপে জাপানের সূর্যাস্ত
দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে এটাই শেষ ম্যাচ। বলা হয়েছে, এই ম্যাচের পরই ভেঙে ফেলা হবে স্টেডিয়াম। ব্রাজিলের এই জয়, থেকে যাবে শুধু রেকর্ড বুকে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০২ বিশ্বকাপের পর একসঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেনি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। শেষবার ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল। সেটাই শেষ দক্ষিণ আমেরিকার কোনও দলের বিশ্বকাপ জয়। এবার ব্রাজিলের কাছে সুযোগ ২০ বছর পর বিশ্বজয়ের। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁদের সামনে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের আগে ব্রাজিলকে শুভেচ্ছা জানান পেলে। টুইটারে তিনি জানান, হাসপাতালে শুয়ে ম্যাচ দেখবেন। গ্যালারিতেও পেলের সুস্থতা কামনায় ফেস্টুন দেখা যায়। তবে দেশকে শেষ আটে নিয়ে গিয়ে ফুটবল সম্রাটকে সেরা উপহার দিলেন ফুটবলাররা। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ। সেবার নক-আউটে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা চিলি। সেই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিল। এবারও নক-আউটে ব্রাজিলের ফলাফল এক।