ঝড় তুলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল কানাডা। রবিবার কাতারের আল খালিফা স্টেডিয়ামে অঘটনের আশঙ্কা উড়িয়ে কানাডাকে চার-এক গোলে হারাল গত বছরের রানার্স ক্রোয়েশিয়া। ম্য়াচের ৩৬ ও ৭০ মিনিটে গোল করে ক্রোটদের স্বস্তি দিলেন ক্র্যামারিচ। ম্য়াচের ৪৪ মিনিটে দেশের হয়ে আর একটি গোল করেন মার্কো লিভায়া। এই ম্য়াচ শুরুর আগে এই গ্রুপের প্রথম ম্য়াচেই বেলজিয়ামকে হারিয়ে কাতারে অঘটন ঘটিয়েছিল মরক্কো। আল-খালিফা স্টেডিয়ামে প্রায় তারই অ্য়াকশন রিপ্লে ঘটতে চলেছিল। ক্রোটরা কিছু বোঝার আগেই মাত্র ২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় কানাডা। এই বিশ্বকাপের এখনও পর্যন্ত দ্রুততম গোল করেন আলফান্সো ডেভিড। গত ম্য়াচে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে প্রতিপক্ষের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন কানাডিয়ান ফুটবলারা। ম্য়াচ হারলেও তাঁদের খেলায় মুগ্ধ হয়েছিল বিশ্ব ফুটবল। এই ম্য়াচেও কী তাহলে এমন কিছু ঘটতে চলেছে ? সেই জল্পনায় জল ঢাললেন ইভান পেরিসিচ এবং লুকা মদ্রিজ। ক্রোটরা সমতায় ফেরে পেরিসিচের পাশ থেকে। লিভায়ার গোলে মুভ ছিল মদ্রিজের অবদান। ৯৩ মিনিটে ক্রোটদের চতুর্থ গোল লোভারো মায়ারের।
ম্য়াচ শুরুর আগে প্রাক্তন বিশ্বকাপার এবং বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলের কোচ ইগর স্তিমাচ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এই কানাডার বিরুদ্ধে কী ভাবে পারবে ক্রোয়েশিয়া। কারণ, বেলজিয়াম ম্য়াচে কানাডার ফুটবলাররা যে গতি দেখিয়েছেন, তাতে ধরাশায়ী হতে পারে কার্যত বুড়োদের নিয়ে তৈরি ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু এদিন কানাডার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে একটা আট মিনিটের ঝড় তোলেন ক্রোটরা। আর তাতেই শেষ কানাডার যাবতীয় বিপ্লব। দ্বিতীয়ার্ধেও ট্যাকটিক্যাল ফুটবল খেললেন মদ্রিজরা। কানাডাকে মিনোজে পরিণত করেই ম্য়াচ জিতল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এই ম্য়াচে কানাডাকে হারাতেই চার পয়েন্ট নিয়ে এখন গ্রুপের শীর্ষে গতবারের রানার্সরা। গোলপার্থক্যে দ্বিতীয় মরক্কো। এখন সবার নজর গ্রুপের শেষ ম্য়াচে ক্রোয়েশিয়া বনাম বেলজিয়াম ম্য়াচের দিকে। চার বছর আগে বেলজিয়ামকে হারিয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিলেন লুকা মদ্রিজরা। এই ম্য়াচ ড্র করলেই শেষ ষোলোতে চলে যাবে ক্রোটরা। উল্টোদিকে চার বছরের আগের বদলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবেন বেলজিয়ানরা। তাঁদের এই ম্য়াচ জিততেই হবে। কারণ, তারা যদি এই ম্য়াচ ড্র করে, আর শেষ ম্য়াচে মরক্কো যদি কানাডাকে হারিয়ে দেয়, তা-হলে নক-আউটে উঠবে উত্তর আফ্রিকার এই দল।