নয়ের দশকে তারা ছিল লাল-হলুদের স্পনসর। তিন দশক পেরিয়ে আজ ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর ইমামি। মঙ্গল সন্ধ্যায় মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা থেকেই শুরু হল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পথ চলা। সরকারি ভাবে এদিনই চুক্তি সই হয়েছে। ফলে, পূর্ব শর্ত মেনে নতুন কোম্পানিতে ইমামির শেয়ার থাকবে ৭৭ শতাংশ। ইস্টবেঙ্গলের হাতে থাকবে ২৩ শতাংশ। ১০ জন ডিরেক্টরের অনুপাত সাত তিন। নতুন ইনভেস্টর পাওয়ার দিনেই প্রাক্তন বিনিয়োগকারীর শুভেচ্ছা পেল লাল-হলুদ। মঙ্গলবারই শ্রীসিমেন্টের কর্নধার হরিমোহন বাঙ্গুরের সঙ্গে দেখা করে আসেন ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা।
নতুন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি পাকা হয়ে যাওয়ার ফলে কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপে ইমামি ইস্টবেঙ্গল নামেই মাঠে নামবে লাল-হলুদ। এদিন নতুন লোগোও উদ্বোধন হয়েছে। তবে, আইএসএলে সম্ভবত ইস্টবেঙ্গল এসসি নামেই মাঠে নামতে হবে লাল-হলুদকে। এদিন ইস্টবেঙ্গল-ইমামির চুক্তিতে হাজির ছিলেন দুটি টুর্নামেন্টের জন্য লাল-হলুদের কোচ বিনু জর্জ ও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন।
চুক্তির পরেই ইমামির অন্যতম ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল জানিয়েছেন, ”আজ আমরা ইনভেস্টর হিসাবে এসেছি, স্পনসর হিসাবে নয়। তাই ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধতা বেশি। আমরা একে অপরকে সাহায্য করব।”ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেছেন, “ইমামিকে বিনিয়োগকারী হিসেবে পেয়ে আমরা খুব খুশি। ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল দল বানানোই আমাদের লক্ষ্য।”
গত ২৫ মে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মধ্যস্থতায় ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিনিয়োগকারী হিসাবে ইমামির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তার পর থেকে অনেক দিন কেটে গিয়েছে। চুক্তি নিয়ে আইনি জটিলতা চলেছে দিনের পর দিন। দফায় দফায় আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অবশেষে দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি সই হয়ে গেল। আইএসএলে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনকে কোচ করার পাশাপাশি বেশ কিছু ফুটবলারের সঙ্গেও চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।
এদিকে, সূত্রের খবর, নতুন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি সইয়ের জন্য ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের অভিনন্দন জানান প্রাক্তন বিনিয়োগকারী হরিমোহন বাঙ্গুর। পাশাপাশি নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য কামনা করেছেন।