বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সহজ জয় ইংল্যান্ডের। সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে ইংরেজরাও। সাদিও মানের অনুপস্থিতি টের পেল গোটা টিম। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় সেনেগালের। কোয়ার্টার ফাইনালে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ডের সামনে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
ম্যাচের বয়স তখন ৩৮ মিনিট। বারবার আক্রমণে গিয়েও সেনেগালের ডিফেন্সে আটকে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। টিমে হয়ে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করলেন জোর্ডান হেন্ডারসন। জিউড বেলিংহ্যামের পাস থেকে টিমকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় গোল এল প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে। ফিল ফডেনের অসাধারণ পাসে গোলকিপারকে একা পান হ্যারি কেন। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম গোল করে টিমকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ফের ফিল ফোডেনের দুর্দান্ত পাস। এবার ৫৭ মিনিটে গোল পেলেন বুকায়ো সাকা। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সেনেগাল।
ম্যাচের আগের দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেনেগাল কোচ আলিউ সিজে। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ বিষণ্ণ লাগছিল তাঁকে। যতটা পারলেন, টিমকে চিয়ার-আপ করার চেষ্টা করলেন। বিষণ্ণ সেনেগালের সমর্থকরাও। গ্যালারিতে কোনও সেনেগালের তরুণী চিউইং গাম চেবাচ্ছেন। আবার কেউ কাতারে শেষবার, দেশের পতাকা ওড়াচ্ছেন। আবার দল বেঁধে আঞ্চলিক গান ও বাজনায় বিশ্বকাপ উপভোগ করছেন। তারকা ফুটবলার সাদিও মানে নেই। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়া তখন সময়ের অপেক্ষা। প্রত্য়াশিত হারে শেষ হয়ে গেল আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ অভিযান।