এশীয়দের সেই না পারার কাহিনি। কাতারেও যার কোনও ব্য়তিক্রম হল না। এই বিশ্বকাপে যারা জাপানি নন, তাঁরাও এই ম্য়াচের আগে পর্যন্ত জাপানকে নিয়ে অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু আসল সময়ে ভেঙে পড়লেন জাপানিরা। বিশ্বকাপের প্রথম টাইব্রেকার। শট মারতে গিয়ে তিনটি শট ক্রোট গোলকিপারের হাতে তুলে দিয়ে এলেন জাপান ফুটবলাররা। আর সেইসঙ্গে সূর্য ডুবল কাতার বিশ্বকাপের পশ্চিম আকাশে। গ্রুপের ম্য়াচে জাপান আস্তিন থেকে তাদের চোরা গতি বার করেছিল শেষ ৪৫ মিনিটে। তাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল জার্মানি আর স্পেন। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই জাপানিরা ছিলেন আক্রমণাত্মক। বিশেষ করে প্রথম ১০ মিনিটে ক্রোট ডিফেন্সের মধ্যেই ঘুরে বেড়িয়েছেন জাপানি ফুটবলাররা। কখনও ডানদিক, কখনও বাঁদিক থেকে ঝড়ও তুলেছেন। অপেক্ষা করেছেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারদের ভুলের। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল খাওয়ার পর ম্য়াচ অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কৌশলও মিলে গিয়েছিল। কিন্তু জাপানিরা হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, এই ক্রোয়েশিয়া চারবছর আগে টাইব্রেকার থেকেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন।
দুই প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে জাপানিরা কাতার বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠেছিলেন। প্রতিপক্ষ ছিলেন গতবারের রানার্সরা। অনেকেই বাজি ধরেছিলেন ক্রোয়েশিয়া বধও হয়ে যাবে। লুকা মদ্রিজদের দ্রুত শেষ করতেই যেন এদিন উল্টো ভঙ্গিতে শুরু করেছিল জাপান। যে গতি তারা অন্য ম্য়াচে পরে বার করত, সেই গতি এদিন শুরু থেকেই ক্রোটদের দেখাতে শুরু করেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই জাপানের ভুল হয়ে গেল। কারণ, ক্রোয়েশিয়া কৌশলই ছিল জাপানের গতিকে থামিয়ে দেওয়া। তাই মদ্রিজ, পেরিসিচ, কোভিচিচদের পাশে সমান তালে জাপানি আক্রমণকে রুখে দিলেন লভরেন এবং ভার্ডিয়ল।
১২০ মিনিট পর্যন্ত জাপান নয়, বিশেষজ্ঞদের দাবি ম্য়াচটা নিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া। চার বছর আগে এই কৌশলেই দেশকে ফাইনালে তুলেছিলেন ডালিচ। জাপানকে শেষ করতে সেই একই ছকের প্রয়োগ করলেন ক্রোট কোচ। কার্যত বিধ্বস্ত হয়েই টাইব্রেকারে তিনটি শট ক্রোট গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচের হাতে জমা দিয়ে এলেন জাপানিরা।