সম্রাটের বিদায়। নিঃসঙ্গ ফুটবলবিশ্ব। ৮২ বছর বয়সে শেষ এক অধ্যায়ের। বিদায় নিলেন কিংবদন্তি পেলে (Brazillian Legend Pele)। তাঁর প্রয়াণে স্থিমিত হল ফুটবল ইতিহাসের অর্ধেক যুগ। স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ফুটবলের সম্রাট, যার দেশ ছিল ব্রাজিল। দেশকে যিনি তিনবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। আর দিয়ে গিয়েছেন, অসংখ্য রূপকথা ও মিথ।
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোসের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম পেলের। পরিবারের নাম এদসঁ আরাচঁ দু নাসিমেঁতু। বাবা ডনডিনহো ফুটবলার ছিলেন। ফুটবল খেলে রোজগার ভাল হত না। ছেলে ফুটবল খেলুক, চাননি মা সেলেস্তে নাসিমেন্তো। কিন্তু জন্মের পর থেকে ফুটবলই ছিল ধ্যান, ফুটবলই ছিল মোক্ষ।
১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই। মারাকানা স্টেডিয়ামে (Maracana Stadium) প্রথম আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক। ১৬ বছর ৯ মাস বয়স তখন। দেশের হয়ে প্রথম গোল করে রেকর্ড গড়েন। সেই শুরু। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে প্রথম ব্রাজিলের সবুজ-হলুদ জার্সিতে মাঠে নামেন পেলে। বিশ্বকাপের প্রথম গোলের সময় বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেন তিনি। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০। তিনবার দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেন পেলে। বিশ্বকাপে তাঁর গোল সংখ্যা ১২। ব্রাজিলের (Brazil) হয়ে ৭৭টি ম্যাচ খেলেন। করেছেন ৯২টি গোল। কেরিয়ারে মোট ১২৮৩টি গোল করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৪৫ বছর আগে প্রথম ভারতে পেলে, খেলেছিলেন মোহনবাগানের সঙ্গে ম্যাচ
ফুটবল যদি ধর্ম হয়, ১০ নম্বর সবথেকে পবিত্র। আর পবিত্রতার সঙ্গে পেলের ফুটবল সমার্থক। কী রেকর্ড গড়েছেন, তা দিয়ে পেলেকে মাপা সম্ভব নয়। তাঁকে নিয়ে এক একটি গল্প, এখনও ফুটবলবিশ্বে মিথ হয়ে ঘোরে। ১০ নম্বর জার্সি পরতেন ফুটবল সম্রাট। বিশ্বের সেরা ফুটবলাররাদের সম্মান জানাতে তাই এখনও তাঁদের দেওয়া হয় ১০ নম্বর জার্সি। পেলে বলতেন, বেথোভেন যেমন সঙ্গীতের জন্য জন্ম নিয়েছিলেন, তিনিও জন্ম নিয়েছেন ফুটবলের জন্যই। ২ বছর আগে চলে গিয়েছেন ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা। এবার বিদায় সম্রাটের। পেলেকে হারিয়ে নিঃস্ব হল ফুটবল। ফুটবল সম্রাটকে স্যালুট এডিটরজি বাংলার।