পোল্যান্ডকে হেলায় হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স জিতল ৩-১ গোলে। ম্য়াচে জোড়া গোলে নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। ম্য়াচের ৭৪ ও ৯২ মিনিটে তাঁর গোলে নীরব দর্শক এই বিশ্বকাপের এখনও পর্যন্ত সেরা গোলকিপার সেজনিক। এই ম্য়াচে জোড়া গোল করে কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তেইশ বছরের এই তরুণ তুর্কী। তাঁর গোল সংখ্য়া পাঁচ। ৪৪ মিনিটে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন অলিভার জিরু। পোল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে গোল করে টপকে গেলেন থিয়েরি অঁরিকে। ম্য়াচের একদম শেষে ভারের সৌজন্যে পেন্টালি পায় পোল্যান্ড। ভারের সৌজন্যে দুবারে পেন্টালি থেকে ব্যবধান কমান পোলিশ অধিনায়ক রর্বাট লেওভানডস্কি।
কারা যেন বলেছিলেন, ফ্রান্সকে হারিয়ে তিউনিশিয়া বিপদঘণ্টি বাজিয়ে দিয়েছে। দিদিয়ের দেশঁ তাতে পাত্তা দেননি। শুধু জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে মঞ্চে নিজের রিজার্ভ বেঞ্চকেও একবার দেখে নেওয়া দরকার। কারণ, চার বছর পর এই দল থেকেই বিশ্ব ফুটবলে উঠে আসবে নতুন প্রজন্ম। পোল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ফরাসি কোচ বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি তিউনিশিয়া ম্য়াচের হার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন না। কারণ, এই বিশ্বকাপে বেশির ভাগ কোচের হাতেই একটাই ইঞ্জিন। কিন্তু এই ফ্রান্স তিনটি ইঞ্জিনের। গ্রিজম্য়ান-ডেম্বলে-এমবাপে- এই ত্রিভুজ যে কী ভয়ঙ্কর, যাঁরা সামলেছেন, তাঁরাই বুঝেছেন। যেমন এদিন বুঝেছে পোল্যান্ড। কতক্ষণ রুখবে তাঁদের। ফাঁক একবার না একবার বেরবে। আর ফাঁক পেলেই গোলে। তাতে কোনও ভুল করেন না ফরাসি ফুটবলারা।
ছয় জনের চোট । একজন কম নিয়ে দল গঠন করা। তাতেও বেশ হালকা মেজাজেই কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে, তা ঠিক হলে ইংল্যান্ড বনাম সেনেগাল ম্য়াচেই।