গ্যালারিতে উদ্বিগ্ন ইংরেজ সমর্থকরা। আর মাত্র ১০ মিনিট বাকি। ৮৪ মিনিটে VAR-এর সিদ্ধান্তে পেনাল্টির সুযোগ। ঈশ্বরপ্রদত্ত এমন সুযোগ, এই বিশ্বকাপে হয়তো তৈরি হয়নি। সমতা ফেরানোর সব গুরুভার ছিল অধিনায়ক হ্যারি কেনের (Harry Kane) উপর। কিন্তু পেনাল্টির শট বারের উপর দিয়ে উড়ে গেল। মুহূর্তে নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে গেলেন হ্যারি কেন। বিশ্বকাপ থেকেও বিদায় নিল ইংল্যান্ড (England)। ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে (World Cup Semi Final) ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স (France)।
এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের পর এটাই সবথেকে হাইভোল্টেজ ম্যাচ ছিল। বিশ্বকাপের আগে ৬ জন ফুটবলারের চোট। টিমে নেই পল পোগবা। সেই পোগবার জায়গা নিয়ে নিলেন যেন অলিভিয়ার জিহু। ম্যাচের ১৭ মিনিটে লিড নেয় ফ্রান্স। বক্সের বাইরে গ্রিজম্যানের পাস থেকে লং রেঞ্জ শটে গোল করেন ২২ বছরের তরুণ ফুটবলার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি। গোটা ম্যাচে গোল না পেলেও সুন্দর ফুটবল উপহার দিলেন এমবাপে।
প্রথমার্ধে বারবার আক্রমণের চেষ্টা করেও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বেশ কয়েকটি ভাল সুযোগ তৈরি হয়। বুকায়া সাকাকে ট্যাকল করতেই করতে গিয়েই পেনাল্টির সুযোগ আসে ইংল্যান্ডের। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান হ্যারিকেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫৩তম গোল করলেন তিনি। ছুঁয়ে ফেলেন ওয়েন রুনিকে।
৭৭ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় সুযোগ আসে ফ্রান্সের। গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে গোল করেন তিনি। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৭৭ মিনিটের মাথায় গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে গোল করেন ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন জিহু। এরপর হ্যারিকেনের পেনাল্টি মিস, ব়্যাশফোর্ডের ফ্রি-কিক মিস। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় সাউথগেটের ইংল্যান্ডের।
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে মেসিদের মুখোমুখি মদ্রিচরা, মরক্কোর সামনে ফ্রান্স
১৯৩৮ সালে ইতালি করেছে। ১৯৬২ সালে ব্রাজিল। পরপর দুবার বিশ্বকাপ জয়। এবার সেমিফাইনালে মরক্কোকে হারালে সেই সুযোগ তৈরি হবে ফ্রান্সের সামনেও। এই আল বায়েত স্টেডিয়ামে সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারবেন এমবাপে-গ্রিজম্যানরা।