কাতার বিশ্বকাপে এশীয়দের রাজ। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাক্তন দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার সৌদি আরব। আর বুধ সন্ধ্যায় জাপান। আর্জেন্টিনা এবং জার্মানিকে হারিয়ে এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুটি অঘটন ঘটাল তারা। ম্য়াচ শুরুর আগে সমপ্রেমকে সমর্থন জানিয়ে ফিফাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল জার্মানরা। তাই ম্য়াচ শুরুর আগে ফোটোশুটে জার্মান ফুটবলাররা হাত দিয়ে মুখ ঢেকেছিলেন। কিন্তু নব্বই মিনিট পর তাঁদেরই লজ্জায় মুখ ঢেকে দিলেন জাপানিরা। দোহার পশ্চিম আকাশে যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে ঠিক তখনই জ্বলে উঠল সূর্যের দেশ।
প্রথম ৪৫ মিনিট চিরাচরিত এশিয়ার দলগুলির মতো এই ম্য়াচে খেলছে সামুরাইরা। পুরো দলটাই তৈরি হয়েছে দেশীয় লিগ খেলা ফুটবলারদের নিয়ে। স্বদেশী কোচের উপরেই ভরসা দেখিয়েছেন জাপানিরা। যার ফসল দ্বিতীয়ার্ধে দুটি বদল। দুই সুপার সাবই ম্য়াচ ফিনিশ করলেন। রিস্তু ডোয়ান আর তাকুমা আসানো। জে লিগের এই দুই ফুটবলার ধাক্কা দিয়ে গেলেন জার্মান জাতভিমানে।
ত্বকের ক্যানসার নিয়ে এই ম্য়াচে খেলতে নেমেছিলেন জার্মান অধিনায়ক ইমানুয়েল নয়ার। প্রথম গোল অনেকটাই তার দোষে। আর দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ নয়ারকে নড়তেই দেননি আসানো। প্রথম পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে জার্মানদের মাঠ ছাড়া করলেন তিনি। যাঁরা ভেবেছিলেন মঙ্গলবার যা হয়েছে, তা হয়তো ওই একটা ম্য়াচের মধ্য়েই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু জাপান জানান দিল, পিকচার অভি বাকি হ্য়ায়....।