ফুটবল। মানে একটা ঘনঘনে ব্যাপার। ফুটবল মানে একটা গর্জন। গর্জন গগণ ভেদি। যার থেকে ব্যতিক্রম নয় এবারের কাতারও। কিন্তু এই কাতারের ফুটবল মাঠে এসেও আপনি নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারবেন। সুযোগ পাবেন গেম খেলার। এবারের বিশ্বকাপ ঘিরে এমনই ব্যবস্থা করা হয়েছে দোহার তিনটি স্টেডিয়ামে। এক মার্কিং সংস্থার সাহায্য এই গেমিং স্টোর তৈরি করা হয়েছে লুসাইল, আল-বায়াত এবং এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের মধ্যে। ফুটবলে বিরক্তি লাগলে, আপনি এখানে এসে আরাম করেই সময় কাটাতে পারবেন। আপনার সঙ্গে থাকা বিশ্বকাপের টিকিট দেখালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে খেলতে পারবেন নানা গেমও।
বিভিন্ন দেশ। তাদের সমর্থক। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় গত একমাস কাতাদের চলছে এক মহা পিকনিক। সেনসরি সুক বলে এই সংস্থার মালিক রানা স্মিথ জানিয়েছেন, ফুটবল সবার। সেখানে কোনও জাতি-ধর্ম নেই। আবার ফুটবল অনেকের ভালও লাগে না। বিশেষ করে তাঁদের জন্যই স্টেডিয়ামের মধ্যে এই খেলাঘর তৈরি করা হয়েছে। আওয়াজ থেকে বহু দূরে এসে তাঁরা পছন্দের খেলাকেই উপভোগ করতে পারবেন।
এবার কাতার বিশ্বকাপে খেলা দেখতে আসা বেশির ভাগ শিশুই সময় কাটিয়েছে এই খেলাঘরে। স্মিথ জানিয়েছেন, লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসে তাঁদের গেমিং রুমে সময় কাটিয়ে গিয়েছে লিও মেসির তিন ছেলেও। এমনকী, এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে একদিন প্রায় আধঘণ্টা একাই গেম খেলেছেন এই বিশ্বকাপের নতুন নায়ক কিলিয়ান এমবাপেও।