একটা ম্য়াচ। বদলে দিতে পারে দু দলের ভাগ্য। জিতলেই খুলে যেতে পারে শেষ ষোলোয় ওঠার দরজা। এই পরিস্থিতি মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাসের ম্য়াচে মুখোমুখি হচ্ছে ইরান ও আমেরিকা। এই গ্রুপে ইরান একটি ম্য়াচ হেরেছে, একটি ম্য়াচ জিতেছে। তাদের পয়েন্ট এখন তিন। আর আমেরিকা দুটি ম্য়াচ ড্র করে আদায় করেছে দুই পয়েন্ট। এই ম্য়াচে যদি আমেরিকা জিতে যায়, তাহলে তারা উঠতে পারে নক-আউটে। আর জিতলে ইরানও চলে যাবে নক-আউটে।
১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ইরান ও আমেরিকা। সেই ম্য়াচে এশিয়া শক্তির কাছে ২-১ গোলে হেরেছিলেন মার্কিনরা। তাই মঙ্গলবারের ম্য়াচে এক কথায় বদলারও। কারণ, গত চব্বিশ বছরে মাত্র দু বার মুখোমুখি হয়েছে তারা। একবারও জিততে পারেননি আমেরিকা। ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম দুটি ম্য়াচে ড্র করেছে মার্কিনরা। তারুণ্য়ে ভরপুর আমেরিকা এই ম্য়াচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলতে মরিয়া।
উল্টোদিকে প্রথম ম্য়াচে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওয়েলস ম্য়াচে কামব্যাক করেছে ইরান। কার্লোস কুইরেজের দল গ্যারেথ বেলদের হারিয়ে দিয়েছে দুই শূন্য গোলে। তাই তারিমি, চেসমিদের দিকে এই ম্য়াচে তাকিয়ে তেহেরান। কারণ, এবার ফুটবলের বাইরেই কাতারে ইরান-ই একমাত্র আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। মাঠের বাইরে নয়, মাঠের কথাই বলতে চান কোচ কুইরেজ। দাবি একটাই জিতেই পরের নক-আউটে ওঠার।