মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নামার আগে তখন বুক কাঁপছে। এই ম্যাচে হারলেই ছিটকে যাবে আর্জেন্টিনা। সুদূর বুয়েন্স আইরেস আর কলকাতার মধ্যে তখন কোনও পার্থক্য নেই। ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে সব কাজ ফেলে কাতার রওনা দেন আর্জেন্টিনার সমর্থক উত্তম সাহা। আর্জেন্টিনা ও লিও মেসির জন্য কী করতে পারেন, দেখালেন কলকাতার ওই প্রৌঢ়।
যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানের বাসিন্দা উত্তম সাহা। ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার। ১৯৮৬ সালে মারাদোনার হাত ধরে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই থেকে এই নীল-সাদা দলের ফ্যান হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মাঠে গিয়ে হোক, বা টেলিভিশনে, আর্জেন্টিনার কোনও ম্যাচ মিস করেন না তিনি। এবারও বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পতাকায় পাড়াকে সাজিয়ে ছিলেন। ৪০০ মিটার লম্বা ফ্যান জ়োনও তৈরি করেছেন তিনি। শনিবার আর্জেন্টিনার ম্যাচের আগে কাতারে উড়ে যান উত্তম বাবু। এই ম্যাচেই গোল করেন লিওনেল মেসি। ম্যাচও জেতে আর্জেন্টিনা।
২০০২ সালে বাবার মৃত্যুর কয়েকদিন পরই লন্ডনে গিয়েছিলেন উত্তম সাহা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেন লিওনেল মেসি। বেজিং অলিম্পিক্সেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ দেখেছেন তিনি। ২০০২ সালে শহরে আর্জেন্টিনা ফ্য়ান ক্লাবও তৈরি করেছেন। ভারতের নানা শহরে আছে সেই ক্লাবের সদস্য। মেসি ও মারাদোনার জন্মদিন পালন করেন। কেকও কাটেনও।