বিশ্বকাপের নকআউটে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। জোড়া গোল করে ফের নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। তাঁর গতিতেই হারল ডেনমার্ক। ফ্রান্স ম্য়াচ জিতল ২-১ গোলে। ম্য়াচের ৬১ ও ৮৬ মিনিটে গোল করলেন এমবাপে। আর তাতেই এক ম্য়াচ বাকি থাকতেই কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল লে-ব্লুজরা। ডেনমার্কের হয়ে ব্যবধান কমান ক্রিশ্চিয়ানসেন।
প্রায় ৭৫ বছর আগে এই ডেনমার্কের কাছে বিশ্ব ফুটবলে ১৭-১ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। সেটাই ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে জঘন্য হার। সময় বদলেছে, কাতার দেখাল ডেনমার্ক একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে। আর ফ্রান্স এগিয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার মাইল। এদিনের ম্য়াচে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁ। বিশেষ করে কতটা ফিট রাফায়েল ভারান তা দেখার জন্য তাঁকে প্রথম একাদশে নামানো হয়। প্রথমার্ধে ট্যাকটিকাল ফুটবল খেলেই ডেনমার্কের যাবতীয় ছন্দ শেষ করে দেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শেষ ৪৫ মিনিটে ড্যানিসদের প্রেসিং ফুটবল রুখতে জায়গা পরিবর্তন করেন এমবাপে এবং গ্রিজম্য়ান। প্রতি আক্রমণ থেকে ফ্রান্সের প্রথম গোল। এই ম্য়াচেও নিজের গতিতে ড্যানিস ডিফেন্সকে পরাজিত করেন এমবাপে। ম্য়াচের বয়স তখন ৬১ মিনিট। ম্য়াচের ৬৮ মিনিটে ডেনমার্ক সমতায় ফেরে ফরাসি ডিফেন্সের বিরাট ফাটলের জন্য। কিন্তু সেই কিলিয়ান এমবাপে। এবার ডানদিক থেকে উড়ে আসা ক্রশ থেকে ফ্রান্সের নক-আউটের ওঠার টিকিট কনর্ফাম করেন ২৩ বছরের এই বিস্ময় বালক। দেশের জার্সিতে গত ১২টি ম্য়াচে এই নিয়ে তাঁর ১৪টি গোল।
এই গ্রুপে ফ্রান্সের শেষ ম্য়াচ তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে। তবে জমে গেল অস্ট্রেলিয়া বনাম ডেনমার্ক ম্য়াচ। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই বিশ্বকাপের নকআউটে উঠতে পারবেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনরা।