প্রতিপক্ষের কোচের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন মেসি। ম্য়াচ শেষের পর মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়েই রেফারির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছেন। টুকরো টুকরো এই ছবিগুলো শুক্রবারের রাতে সাক্ষী হয়ে থাকল কাতারের লুসাইল স্টেডিয়াম। এমন মেসিকে কোনও দিন দেখেনি বিশ্ব ফুটবল। দেখেনি তাঁর পরিবারও। সেই মেসি মাঠের মধ্য়েই মাথা গরম করলেন। আর ম্য়াচ শেষ হতেই স্প্যানিশ রেফারির বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করবেন বলে এবার তিনি পণ করেছেন। সেই পণ ভেঙে যেত বসেছিল নেদারল্য়ান্ডস ম্য়াচে। কারণ, চড়া উত্তেজনার পর টাইব্রেকারে ম্য়াচ জিতেছে আর্জেন্টিনা।
একসময় এই ম্য়াচ দাঁড়িয়েছিল ফিজিক্যাল গেমে। তাই মেসির অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে বঞ্চনা করা হয়েছে। অনেক ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন তাঁরা। অহেতুক হলুদ কার্ড বার করা হয়েছে। অথচ নেদারল্য়ান্ডসকে অনেকটাই ছাড় দিয়েছেন রেফারি। ম্য়াচ শেষের সাংবাদিক বৈঠকে মেসি জানিয়েছেন, এই ভাবে রেফারিং করলে খেলার কোনও মান থাকে না। গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনালে দু জন ফুটবলারকে পাবে না আর্জেন্টিনা। যার মধ্য়ে একজন অ্য়াকুনা।
তবে এসবের পরেও মারাদোনাকে স্মরণ করেছেন শিষ্য লিও মেসি। দোহায় তিনি জানিয়েছেন, এই ম্য়াচ জেতার পিছনে আছে মারাদোনার আর্শীবাদ। না-হলে এই ম্য়াচ জেতা যায় না বলেও দাবি ৩৬ বছরের বিশ্ব ফুটবলের রাজকুমারের।