ম্যাচের বয়স তখন ৬৮ মিনিট। প্রায় ৩৬ গজ দূর থেকে একটা গোলা বেরল স্প্যানিশ ফুটবলার রডরিগোর পা থেকে। ব্যাস তাতেই কেল্লাফতে। ইন্টার মিলানকে এক-শূন্য গোলে হারিয়ে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। হ্যালান্ড, লাউতুরো মার্টিনেজ, রুমেল লুকাকুদের উপর থেকে যাবতীয় আলো কেড়ে তুরস্কের আর্তারতুক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের নায়ক হলেন ২৬ বছরের রড্রি। সেইসঙ্গে মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে জীবনের একটা বৃত্ত পূর্ণ করলেন কোচ পেপ গুয়ার্দিওয়ালা। বার্সিলোনার পর দ্বিতীয় ক্লাব হিসাবে ম্যানচেস্টার সিটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দিলেন তিনি।
এই প্রথম ইউরোপের মাঠে নেই মেসি-রোনাল্ডো। ফাইনালে নেই বার্সা, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মতো কুলীন ইউরোপীয় ক্লাবগুলি। তবুও ভয়ানক ভূমিকম্পের স্মৃতি কাটিয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল উপহার দিল তুরস্ক। ইস্তানবুলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু মেসি-রোনাল্ডো পরবর্তী ইউরোপে তারকা কোথায় ? মাঠের বাইরে বসে রইলেন কাতার বিশ্বকাপের বিস্ময় জুলিয়ান আলভারেজ।
লাউতুরো মার্টিনেজ বনাম হ্যালান্ড। এটাই ছিল ভারতীয় সময় রবিবার মধ্য রাতের এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল রসদ। নব্বই মিনিট পর দুই তারকাই ফ্লপ। বরং কেভিন ডি ব্রুয়েনের জায়গায় নেমে গোটা দলকে নেতৃত্ব দিলেন ফিল ফোডেন। রড্রির গোলের পরেও ম্যান সিটি লিড বাড়াতে পারত। শুরু থেকে শেষ এক পেসে ম্যাচ খেলে ইতালির ক্লাবকে ক্রমশ কোণঠাসা করে দেন স্টোন, গ্রিলিসরা।
উল্টোদিকে লুকাকু ছিলেন লুকাকুতেই। ফাইনালের আগে অনেক ম্যাচে গোল করে ইন্টারকে জিতিয়েছেন। কিন্তু এদিন তাঁর হেড বারবার আটকে গেল ম্যান সিটির ব্রাজিলীয় গোলকিপার এডারসনের গায়ে এবং পায়ে। গোল খাওয়ার পর একাধিক হাফ চান্স নষ্ঠ করে ফাইনাল ইংলিশ ক্লাবের হাতে তুলে দিলেন সিমনো ইনস্যাগির ছেলেরা।