বিরতির পর ফের দেশের জার্সি গায়ে মাঠে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। মঙ্গলবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে বলিভিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে ৬-০ গোলে প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর এই ম্যাচের নায়ক লিওনেল মেসি। হ্যাটট্রিক করেছেন লিও। বাকি দুটো গোলও অ্যাসিস্ট করেন তিনি। মোট পাঁচটা গোলেই অবদান রয়েছে তাঁর।
এদিনের ম্যাচে বলিভিয়ার বিরুদ্ধে ১৯ মিনিটে প্রথম গোল করেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে লাউতোরা মার্টিনেজকে দিয়ে গোল করান তিনি। এরই তিন মিনিটের মধ্যে গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। বিরতির পর গোল করেন থিয়াগো আলমাদা। ৮৪ মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন মেসি। তার ঠিক দু'মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিক করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার সামনে কোনও গোলই করতে পারেনি বলিভিয়া।
এর দেশের জার্সিতে হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি?
পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে দেশের জার্সিতে এর আগে মেসি হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০২৩ সালে। কুরাসাওয়ের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন মেসি। সেই হ্যাটট্রিকের ফলে দেশের জার্সিতে ১০০ তম গোল করেছিলেন তিনি। বিশ্বের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে এই রেকর্ড গড়েছিলেন মেসি। ওই ম্যাচে কুরাসাওকে ৭-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকা জয়ের পর দীর্ঘদিন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন লিওনেল মেসি। দেশের জার্সিতে খেলতে পারেননি। এমনকি ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়েও কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। সম্প্রতি ক্লাবের হয়ে মাঠে ফিরেছেন। গোলও করেছেন। এবার দেশের হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন। এই হ্যাটট্রিক নিয়ে ক্যারিয়ারের ৫৮তম হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। আর দেশের জার্সিতে ১০ তম হ্যাটট্রিক।
এই হ্যাটট্রিকের ফলে ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান এখন মেসির। ১৮৭২ সালে ফিফার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেছিল স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের পর ১৫২ বছর কেটে গিয়েছে। এর মাঝে যা যা রেকর্ড হয়েছে, এদিনের আর্জেন্টিনা-বলিভিয়া ম্যাচের মাধ্য্যমে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছেন মেসি। এই হ্যাট্রিকের ফলে নিজের কেরিয়ারে মেসির গোল সংখ্যা ৮৪৬ আর অ্যাসিস্ট ৩৭৭টি। সবমিলিয়ে ১ হাজার ২২৩ গোলে অবদান এওয়েছে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকার। অফিসিয়াল ম্যাচের হিসেব অনুযায়ী এটিই সর্বোচ্চ।
সবচেয়ে বেশি গোল করার পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে মেসিই প্রথম খেলোয়াড় যিনি তিনটি হ্যাটট্রিক করেছেন। এর আগে ২০১৬ সাল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে বলিভিয়ার বিরুদ্ধে আবার ২০২৪ সালেও বলিভিয়ার বিরুদ্ধেই ফের হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়লেন মেসি।