ইয়াসিন বুনোর হাতেই শেষ হয়ে গেল স্পেন। মঙ্গলবার বিশ্বকাপের নকআউটে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে জিতে স্পেনকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিল মরক্কো। এশিয়া পারেনি, কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে আফ্রিকা দেখিয়ে দিল। এই ম্য়াচেও পেনাল্টি বাঁচিয়ে মরক্কোর হিরো ইয়াসিন বুনো। ১২০ মিনিট পর্যন্ত ম্য়াচের ফল ছিল গোলশূ্ন্য। ১২০ মিনিটের মাথায় স্পেনের সাবারির শট বারে লেগে প্রতিহত হয়েছিল। কিন্তু টাইব্রেকারে স্পেনের সামনে দূর্গ হয়ে দাঁড়ালেন লা-লিগায় সেবিয়ার হয়ে খেলা গোলকিপার বুনো। তারকাখচিত স্পেনকে নাকি হাজারটা করে শট মারিয়ে টাইব্রেকারের জন্য তৈরি করেছিলেন কোচ লুইস এনরিকে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হল না। সার্জিও বুসকেতের মতো অভিজ্ঞ বল তুলে দিলেন বুনোর হাতে। ৩৬ বছর আগে মেক্সিকো সিটিতে ৮৫ মিনিটে গোল খেয়ে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে গিয়েছিল মরক্কো। আর ৩৬ বছর বিশ্বকাপের মঞ্চে স্তব্ধ হয়ে গেল তিকিতাকা। হিরো ইয়াসিন বুনো। শেষ আটে মরক্কো। বিদায় স্পেনের।
মঙ্গলবার কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম কার্যত পরিণত হয়েছিল লাল-দূর্গে। না স্প্য়ানিস সমর্থকদের সৌজন্য়ে নয়। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের নকআউটে ওঠার পর এদিন স্টেডিয়াম ভরিয়েছিলেন মরক্কানরা। পরিসংখ্য়ান বলছে, এই বিশ্বকাপে মাত্র একটি গোল খেয়ে এদিন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল উত্তর আফ্রিকার দেশে মরক্কো। এবং সেটাই ছিল আত্মঘাতী। প্রথমার্ধে স্পেনকে মাঝমাঠে জায়গাই দিল না করিম বেনশারিফার দেশ। তার মধ্যে প্রথম ৪৫ মিনিটে ৪০০-এর বেশি পাস খেললেন স্প্যানিসরা।
পরের ৪৫ মিনিট অবশ্য় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম ছিল স্পেনের। গ্রুপের ম্য়াচে দু হাজারে বেশি পাস খেলছেন এনরিকের ছেলেরা। এই ম্য়াচেও সেই একই ধারা। ম্য়াচ হয়তো ৯০ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারত। যদি গোল চিনতেন মোরাতা, ফেরান তোরেস, ড্যানি ওমলোরা। এবং যদি তাঁরা মরক্কোর মিডিও অ্য়ামরাবাতকে টপকে যেতে পারতেন। সাইস, অ্য়াগুয়েদদের মাঝে দাঁড়িয়ে ১২০ মিনিট পর্যন্ত স্পেনের আক্রমণ একাই রুখে দিলেন অ্য়ামরাবাত। আর টাইব্রেকারে বাকি কাজটা করে দেখালেন ইয়াসিন বুনো। টাইব্রেকারের শেষ শটটি নিতে গিয়েছিলেন মরক্কোর আর্শাদ হাকিমি। যাঁর জন্ম স্পেনের মাদ্রিদ শহরে। তাঁর পায়েই স্পেনের মাদ্রিদ ফেরার টিকিট কনফার্ম হল।