কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর ইতিহাস। পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে আফ্রিকার প্রথম দল হিসাবে সেমিফাইনাল উঠল মারাকাস এক্সপ্রেস। ম্য়াচের বিয়াল্লিশ মিনিটে একমাত্র গোল এন-নাসেরির। এর পর নব্বই মিনিট পর্যন্ত প্রচুর দৌডে়ও মরক্কোর ডিফেন্স দূর্গ ভাঙতে পারলেন না পর্তুগিজরা। বেলজিয়াম এবং স্পেনকে যে ভাবে তারা হারিয়েছিল, এই ম্য়াচেও ঠিক সেই ভাবেই রোনাল্ডোদের বিশ্বকাপ থেকে দিলেন জিয়াস, অ্য়ামরাবাটরা। প্রথম একাদশে রোনাল্ডো নেই। সেটা জেনেই তিন জনের পিছনে পুলিশ মার্কিং লাগিয়ে দেওয়া হল। ব্রুনো এবং বার্নাডো সিলভা আটকে যেতেই সুইস ম্য়াচের হিরো গঞ্জালাসো রামোশ আটকে গেলেন। তবুও প্রথম কুড়ি মিনিট পর্তুগাল বেশ চাপ রেখেছিল। কিন্তু বিয়ালিশ মিনিটে গোল করেই নিজেদের পুরনো ফরমেশনে ফিরে আসেন আফ্রিকার সবুজ-মেরুন। নব্বই মিনিট পরেও আট মিনিট সময় পেয়েছিল রোনাল্ডো ও তাঁর পর্তুগাল। এরমধ্য়ে লাল কার্ড দেখলেন মরক্কোর চেদেরি। তাতেও ইয়াসিন বুনোকে পরাস্ত করতে পারল না পর্তুগাল। বিদায় রোনাল্ডো। ইতিহাস তৈরি করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মরক্কো।
গ্যালারিতে অধীর আগ্রহে বসেছিলেন বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজ। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি যখন নামলেন, তখন পিছিয়ে পর্তুগাল। কেন এই ম্য়াচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দ্বিতীয়ার্ধে তার কোনও জবাব নেই পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্য়ান্টোসের কাছে। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন সুইৎজারল্যান্ড এবং মরক্কো হয়তো একই দল। কিন্তু উত্তর আফ্রিকার এই দেশ এই বিশ্বকাপের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। যা শনিবার আল-থুমামা স্টেডিয়ামে ফের প্রমাণ করল মারাকাস এক্সপ্রেস।
চার বছর আগে রাশিয়া যে মরক্কোকে চিনতেন পর্তুগিজ কোচ, এই মরক্কো কিন্তু তা নয়। স্যান্টোস হয়তো ভেবেছিলেন রাশিয়াতেও হারিয়েছিলেন, কাতারেও হারিয়ে দেবেন। পর্তুগিজ কোচ হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন সেই ম্য়াচে গোল করেছিলেন সেই রোনাল্ডো। যিনি আজ এই পর্তুগাল দলে কার্যত ব্রাত্য।