যা বাকি ছিল, সেই বৃত্ত যেন সম্পূর্ণ হয়ে গেল। ২৪টি গ্র্যান্ডস্লাম জয় আগেই হয়েছে। এবার কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে অলিম্পিকে সোনা। গোল্ডেন স্ল্যাম জয় জোকোভিচের। সার্বিয়াকে সোনা এনে দিলেন টেনিস কিংবদন্তী। ২২ বছরের স্প্যানিশ তারকা আলকারাজকে হারিয়ে সবথেকে প্রবীণ অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকে সোনা জয় জোকারের। ১৯৮৮ সালের পর এই ৩৭ বছর বয়সে কোনও টেনিস অ্যাথলিট সোনা জিততে পারেননি।
২ সপ্তাহও হয়নি। ১৪ জুলাই, ২০২৪। উইম্বলডন ফাইনালের সেই রাতের কথা মনে পড়ে যায় বারবার। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আলকারাজের সামনে এসে জবুথবু হয়ে পড়া জোকোভিচকে। ঘাসের কোর্টে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন যেন আলকারাজের সামনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। স্ট্রেট সেটে আলকারাজের কাছে প্রায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। এবার অলিম্পিক ফাইনাল তাই জোকোভিচের নিজের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। রোল্যা গাঁরোর কোর্টে উইম্বলডন ফাইনালেরই বদলা নিলেন। ৭-৬, ৭-৬ সেটে জিতে আলকারাজের থেকে সোনা ছিনিয়ে নিলেন জোকার।
এবার অলিম্পিকে দ্বিতীয় রাউন্ডে জোকোভিচের সামনে ছিলেন রাফায়েল নাদাল। নাদালের সেই ফর্ম না থাকলেও সুরকির কোর্টে, তিনি থাকা মানেই যথেষ্ট। তবে নাদালকে হবারিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠেন জোকোভিচ। এরপর কোয়ার্টারে তাঁর মুখোমুখি হন গ্রিসের স্টেফানোস চিচিপাস। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে জোকোভিচের অন্যতম শত্রু ছিলেন। কিন্তু সেই ম্যাচেও হেলায় পার করে দেন। ফাইনালে আলকারাজের বাধা পেরোনই আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। হাঁটুর চোট নিয়ে ফাইনালে আলকারাজকে হাসতে হাসতে হারালেন। আর কেরিয়ারে ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক অর্জন করলেন অলিম্পিকের গ্লোল্ডেন স্লাম।