কাতার বিশ্বকাপ আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিতর্ক, বিতর্ক আর বিতর্ক। এবার কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রতিপক্ষ মরক্কো। পর্তুগাল ড্রেসিংরুম এখনও অশান্ত। ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে চর্চার চুম্বকে CR7। টিমের স্ট্র্যাটেজি নয়, কোয়ার্টার ফাইনালের আগে রোনাল্ডোকে নিয়ে একপ্রকার মুখ খুলতে বাধ্য হলেন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। জানালেন, ওকে একা ছেড়ে দিন।
সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের আগে রোনাল্ডোর সঙ্গে কী হয়েছিল! স্যান্টোস জানান, "রোনাল্ডো আমাদের অধিনায়ক। ম্যাচের দিন দুপুরে লাঞ্চের পর ওকে ডাকা হয়। জানানো হয়, ও খেলছে না। এটা টিমের স্ট্র্যাটেজি। অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়নি রোনাল্ডো। জিজ্ঞাসা করেছিল, এটা খুব ভাল আইডিয়া! পরে মেনে নিয়েছিল।" এবার প্রতিপক্ষ মরক্কো। এবার টুর্নামেন্টে সবথেকে চমক যে দলটি দিয়েছে, তারা মরক্কো। তাদের বিরুদ্ধে কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস কি রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে নামাবেন। এখন পর্তুগাল শিবির জুড়ে এই প্রশ্নই বারবার উঁকি মারছে।
গত ম্যাচে স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছে মরক্কো। এবার পর্তুগাল। টিমের অধিকাংশ ফুটবলার কিন্তু মানসিকভাবে সতেজ। ইয়াসিন বোনো, আশরা হাকিমিরা এবারও মাঠে নেমে চমক দিতে চাইছেন। স্পেনের পর ইউরোপের আরও একটি দেশকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যেই নামছেন তাঁরা। কারণ, টিমের হারানোর কিছুই নেই।
সুইজারল্যান্ড ম্যাচে বাদ পড়েছিলেন রোনাল্ডো। ৬-১ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। রোনাল্ডোর পরিবর্তে মাঠে নেমে হ্যাটট্রিক করেছেন গঞ্জালো রামোস। তাতে যেন ঘিয়ে আগুন পড়েছে। টিমের আত্মবিশ্বাস যখন তুঙ্গে থাকার কথা, তখন কোথাও যেন ঘাটতি চোখে পড়েছে। পর্তুগালের এক সংবাদমাধ্যম সরাসরি দাবি করেছিল, বিশ্বকাপের মাঝপথেই ফিরে যাচ্ছেন রোনাল্ডো। এদিন সেই দাবিও উড়িয়ে দিলেন তিনি। জানালেন, এমন কিছু হয়নি।
ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ের্স মর্গানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার। এরপরই যেন অভিশাপ নেমে এসেছে রোনাল্ডোর জীবনে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে বিদায়। পরপর দুটি ক্লাবে যোগ দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের আগে জাতীয় দলের সঙ্গে মনোমালিন্য।