মেসি রয়ে গেলেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো চলে গেলেন। চার বছর আগে একই রাতে তাঁদের বিদায় হয়েছিল। কাতার ব্যতিক্রম হয়ে থেকে গেল। পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেসি ও রোনাল্ডো। তাঁদের ঝুলিতে সব আছে। কিন্তু বিশ্বকাপ নেই। তাই মেসি ঘোষণা করলেও, কাতার তাঁর শেষ এমনটা কিন্তু ঘোষণা করেননি সিআর সেভেন। শনিবাসরীয় বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে রোনাল্ডোর থেকে এই ঘোষণা হয়ত এখন সময়ের অপেক্ষা। কারণ, ৪১ বছর বয়সে তিনি মেক্সিকোতে আবার ফিরবেন, এটা তিনি কেন, অতিবড় রোনাল্ডো ভক্তরাও বিশ্বাস করেন না। সুইৎজারল্য়ান্ড ম্য়াচ থেকেই তিনি পর্তুগাল দলে ব্রাত্য। মরক্কো ম্য়াচেও তিনি যখন মাঠে নামলেন, তখন দেশ পিছিয়ে। ব্য়ক্তিগত ১৯৬তম ম্য়াচেই তাঁর বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল। গ্যালারিতে জর্জিনা। মাঠে কান্নায় ভাসছেন রোনাল্ডো। কাতারের আল-থুমামা স্টেডিয়ামে হয়তো জীবনের শেষ বিশ্বকাপে এই ছবিটাই স্মৃতিতে থেকে যাবে আপাতর রোনাল্ডো ভক্তদের মনে।
কাতার বিশ্বকাপে কী করলেন রোনাল্ডো ? বিতর্ক মাথায় করে এসেছিলেন। বিতর্ক মাথায় নিয়ে বিদায় নিলেন। প্রথমে ছিল তাঁর প্রাক্তন ক্লাব ম্য়ানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচের সঙ্গে মন কষাকষি। তারপর হল দেশ পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের সঙ্গে ইগোর লড়াই। যা ডোবাল পর্তুগালকে। পন্ডিতদের মতে, এই ক্ষেত্রে যতটা দোষ কোচের, ততটাই রোনাল্ডোর। পর্তুগাল যতই দাবি করুক, তাদের ড্রেসিং রুমে রোনাল্ডোকে নিয়ে কোনও বিবাদ নেই। এমনটা কিন্তু নয়। বিশেষ করে সুইস ম্য়াচের পর রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনাও এই ব্য়াপারে মুখ খুলে পরিস্থিতি আরও জটিল করেন বলেই দাবি পর্তুগিজ সংবাদপত্রের।
তবুও কোচ স্য়ান্টোসের মন গলানোর একটা চেষ্টা রোনাল্ডো করেছিলেন। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। বরফ গলল না, রোনাল্ডোর কার্যত শেষ বিশ্বকাপ খেলা হয়ে গেল। আর এইসবের মধ্য়ে পর্তুগালের আরও একটি বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। দিন কয়েক আগে লুইস ফিগো বলছিলেন, তাঁদের দেশের ফুটবলের রাজা ইউসোবিও। বিশ্বকাপ জেতার দায়িত্ব একসময় ফিগোকে দিয়েছিলেন ইউসোবিও। তিনি পারেননি। ফিগোর আশা ছিল, এবার কাপ নিয়ে লিসবন ফিরবেন রোনাল্ডো। সেই আশাও অধরা থেকে গেল। বিদায় রোনাল্ডো। আরও একবার। এবার কাতার।