একটা সময় ছিল যখন ঝুলন বা রাসের মেলা এলে পল্লীগ্রামের অনেক বাড়ি এবং মহল্লা সেজে উঠত। ঠিক তেমনটাই বিশ্বকাপ এলে সেজে ওঠে ব্রাজিলের প্রতিটি গলি-মহল্লা। নতুন করে বাড়ির দেওয়ালে রঙের প্রলেপ লাগে। জাতীয় পতাকার রঙে সাজিয়ে তোলা হয় প্রতিটি রাস্তাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
এবার একটু ব্য়তিক্রমের বিশ্বকাপ। তাতে কী ? হেমন্তের ব্রাজিলের এখন বসন্তের ছোঁয়া। গোটা দেশ এই চার বছরের অপেক্ষা করে থাকে। অপেক্ষা করে থাকে ব্রাজিলের বিশ্বকাপে মাঠে নামার। দেখতে দেখতে বিশ বছর হয়ে গেল। বিশ্বকাপের মুখ দেখেনি রিও। শেষবার টোকিও থেকে বিশ্বকাপ ঘরে এনেছিলেন কাফু। তারপর শুধু যাওয়া আর আসা। তবুও স্রোতের ভেলায় ভেসেছে ব্রাজিল। আশা করেছে। আবার হতাশ হয়েছে।
হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাকি। তারপরেই বিশ্বকাপের কিক-অফ। তাই এখন দম ফেলার ফুরসৎ নেই রিও-র কাছে। প্রতিটি বাড়ি, গলি, মহল্লা সাজছে নতুন রঙে। গ্রাফিতি আর আলপনায় রাস্তা ছেয়ে গিয়েছে। ভাঙা শরীর নিয়ে ফুটবলের রাজা পেলে দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর রাজার বার্তা পাওয়ার পর নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেছে ব্রাজিল।
জয় বাবা নেইমার। বিশ বছর হল, এবার একটা বিশ্বকাপ নিয়ে এসো। তিতের দলের কাছে এটাই আবদার রিও ডি জেনেইরোর।