কাতারে আসার আগে থেকেই তিনি খবরে। কখনও ক্লাবের সঙ্গে ঝগড়া, তো আবার কখনও মেসির সঙ্গে নতুন বিজ্ঞাপনের ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে। সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কাতারে এসে আবার মুখ খুললেন। সোমবার প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে তিনি জানিয়েছেন, যাবতীয় বিতর্ক তিনি টেমস নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে এসেছেন। কাতারে নতুন দিন, নতুন পর্তুগাল। তাঁর সাফ কথা, ম্য়ানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাঁর যা কিছু হয়েছে, সেটা ব্যক্তিগত। তার কোনও প্রভাব পর্তুগাল ম্য়াচের উপর পড়বে না। আগে তিনি বিশ্বকাপ জিততে চান। তারপর আবার ক্লাব ফুটবল নিয়ে ভাববেন।
কাতার বিশ্বকাপের পর তাঁর কী হবে ? পর্তুগাল মাঠে নামার বেশ কয়েকঘণ্টা আগে থেকেই রোনাল্ডোর ভবিষ্যৎ ঘিরে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তার উত্তরে এদিন সিআর সেভেন জানিয়েছেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি শুধু বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবচ্ছেন। তার বাইরে কিছু নয়। রোনাল্ডো স্মরণ করিয়েছেন, ষোলো বছর আগে তাঁর বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল। তারপর থেকে শুধু যাওয়া আর আসা হয়েছে। বিশ্বকাপকে ছুঁয়ে দেখা হয়নি। তাই হয় এবার, নয় নেভার। এটাই পণ গোটা দলের।
৩৭ বছরের রোনাল্ডোর কাছে এই কাতার চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের কাছেও। ছয় বছর আগে এই দলটাই ইউরোপ সেরা হয়েছিল। তারপর অনেক ওঠানামার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে পর্তুগাল দল। ইতিমধ্যেই দলের জুনিয়রদের সঙ্গে সিআর সেভেনের সম্পর্ক ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। উঠছে পর্তুগাল দলের প্রতি রোনাল্ডোর দায়বদ্ধতা ঘিরে প্রশ্ন। এই সব প্রশ্নের জবাব মাঠে দেবেন বলেই সোমবার জানিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগালের বিশ্বকাপে প্রথম প্রতিপক্ষ ঘানা।